স্বাভাবিকভাবে সন্তানের জন্ম দিতে সমস্যা থাকলে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সিজার (অস্ত্রোপচার) করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ভ্রুণের আকার স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হলে, গর্ভে একের বেশি সন্তান থাকলে বা ভ্রুণের গলায় নাড়ি জড়িয়ে গেলে সিজারের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।
তাদের মতে, অন্যান্য অস্ত্রোপচারের চেয়ে অনেক গুণ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এই সিজার বা সি-সেকশন। সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর মানসিক ও শারীরিক নানা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় নতুন মায়েদের। তাই এ ধরনের অস্ত্রোপচারের পর আবার আগের পর্যায়ে ফিরে আসতে গেলে প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও যত্নের।
অস্ত্রোপচারের ক্ষত তাড়াতাড়ি সারিয়ে তুলতে কোন কোন বিষয়ে মাথায় রাখবেন?
>> শরীরে রক্ত সঞ্চালন যাতে ভাল হয়, তার জন্য প্রতিদিন অল্প হাঁটাহাটির অভ্যাস রাখুন। এ সময়ে অনেকে অবসাদেও ভোগেন। বাইরের আবহাওয়ায় মনেও পরিবর্তন আসে।
>> অস্ত্রোপচারের পর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যেন না হয়। কোষ্ঠ পরিষ্কার করার জন্য যদি পেটে চাপ দেন, সেই চাপ সেলাইয়ের ওপর পড়বে। সেখান থেকেও জটিলতা বাড়তে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। যদি তাতেও কাজ না হয়, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধও খাওয়া যেতে পারে।
>> ক্ষতস্থান পরিষ্কার করতে হবে নিয়মিত। খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনোভাবে সেখানে পানি না জমে। হালকা পোশাক পরতে হবে যাতে হাওয়া চলাচল করতে পারে।
>> স্তন্যপান করানোর সময় যাতে পিঠে বা কোমরে ব্যথা না হয়, তার জন্য বিশেষ বালিশ নেওয়া যেতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বসে বসেই হালকা কিছু ব্যায়াম করা যেতে পারে।
>> অস্ত্রোপচারের পর ব্যথা কমানোর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথা কমানের ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।