সুনামগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের মাঝে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই’র পক্ষ থেকে আজ শনিবার বিশ্বম্ভপুরের হারবৃত্ত গোলচত্বর ও দিরাই পৌর শহরে গৃহনির্মাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা শহিদুল ইসলাম পলাশীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পৃথক দুটি গৃহ নির্মাণ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম ও সহকারী প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন সাকী।
উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া উপ কমিটির সহকারী সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম কবির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সেক্রেটারী আলহাজ্ব আব্দুল আউয়াল, সুনামগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি মাওলানা সোহাইল আহমদ প্রমুখ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্মাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এছাড়া বিশ্বম্ভপুর উপজেলার পলাশ ইউপির লালারগাঁও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত অশোকচন্দ্রের বাড়ি পরিদর্শন করে পীর সাহেব চরমোনাই’র পক্ষ থেকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করেন দলের মহাসচিব।
এসময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, সরকার জনগণের কল্যাণে সহযোগিতা করার কথা থাকলেও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ দলীয়করণের যাতাকলে নিষ্পেষিত হচ্ছে, বরাদ্দ অর্থ অসহায় মানুষ চোখে দেখে না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও পীর সাহেব চরমোনাই মানুষের কল্যাণ চান বলে সীমিত সামর্থ্য নিয়ে বন্যার শুরু থেকে আমরা ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। সামর্থ অনুযায়ী আমরা ভবিষ্যতে এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চেষ্টা চালানো হবে, ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কৃষকদের মাঝে বিনাসুদে ঋণ প্রদান এবং কৃষি সামগ্রী বিতরণের দাবি জানান।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর : এদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের রাজধানীর পল্লবীর একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত পল্লবী থানার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ। সংগঠনের পল্লবী থানা সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট শাখার কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেছেন, জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধি সরকারের অবিবেচনা সূলভ আচরণের বহিঃপ্রকাশ। যার ফলে দেশ বহুমুখি সঙ্কট ও বিপর্যয়ে পতিত হয়েছে। জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীরা সমন্বয়ের নামে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছেন। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে সবকিছু। দেশের সর্বত্রই অসন্তোষ প্রকাশ পাচ্ছে।