মার্কিন জনগণ যাতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর গর্ভপাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, সে জন্য ‘এক্সিকিউটিভ অর্ডারে’ সই করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
গত মাসে একটি মামলার রায়দানের সময় প্রায় পাঁচ দশক ধরে চলে আসা গর্ভপাতের অধিকার প্রত্যাহার করেছিল মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। তারপর থেকে নিজের দলের অন্দরেই তীব্র চাপে পড়েছিলেন ডেমোক্র্যাট নেতা বাইডেন।
হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা যা দেখেছি, সেটা রাজনৈতিক ক্ষমতার আস্ফালন। কোনো সংবিধানসম্মত রায় নয়। স্বাধীনতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার কেড়ে নিতে রিপাবলিকান দলের চরমপন্থী সদস্যদের তালে তাল মিলিয়ে কাজ করে চলা এই লাগামহীন সুপ্রিম কোর্টকে আমরা মেনে নিতে পারি না।’
তবে এই এক্সিকিউটিভ অর্ডারের পরিসর খুব বেশি নয়। কারণ মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রদেশগুলি চাইলে নিজেদের মতো করে গর্ভপাত সংক্রান্ত আইন তৈরি করে নিতে পারে। সেক্ষেত্রে বাইডেনের সই করা এই অর্ডারের খুব বেশি গুরুত্ব থাকবে না। তবু এর মাধ্য়মে দলের অবস্থানগত বার্তা স্পষ্ট করে দেওয়া যাবে। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত।
তবে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে যতই সমালোচনা হোক না কেন, এই মুহূর্তে তাতে কোনো রদবদলের কথা ভাবছেন না বাইডেন। সেটি সদস্যসংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাবেও মত নেই হোয়াইট হাউসের।
বরং আমজনতার কাছে বাইডেনের বার্তা, গর্ভপাতের অধিকার সমর্থন করেন এমন সিনেটরই আরও বেশি সংখ্যায় নির্বাচিত হয়ে আসা উচিত। তার দলের অন্যান্য সদস্যদের কথায়, সুপ্রিম কোর্টের রায় এভাবে একটা এক্সিকিউটিভ অর্ডার দিয়ে শোধরানো যাবে না। তবু প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে।
বহুক্ষেত্রেই গর্ভপাত নারীস্বাস্থ্য ও অধিকারের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সেদিকে বাইডেনের সিদ্ধান্ত অন্তত নৈতিক জোর বাড়াবে নারী অধিকার আন্দোলনকারীদের।