হযরত মাকাল বিন ইয়াসার রা. বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সা. বলেন- যে ব্যক্তি সকাল বেলা তিন বার আউজুবিল্লাহিস সামীয়িল আলীমি মিনাশ শাইতানির রাজীম”পড়বে। তারপর সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়বে। আল্লাহ তাআলা তার জন্য ৭০ হাজার ফেরেস্তা নিয়োজিত করে দিবেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত যারা উক্ত ব্যক্তির জন্য মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকে। আর এ সময়ের মধ্যে যদি লোকটি মারা যায়, তাহলে সে শহীদের মৃত্যু লাভ করে। আর যে ব্যক্তি এটি সন্ধ্যার সময় পড়বে, তাহলে তার একই মর্যাদা রয়েছে। [তথা মাগরিব থেকে সকাল পর্যন্তের জন্য ৭০ হাজার ফেরেস্তা গুনাহ মাফীর জন্য দুআ করে, আর সে সময়ে মারা গেলে শহীদের সওয়াব পাবে]।
সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৩০৯০।
মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস নং-২১৫৭।
আরবী আমলটি তুলে ধরা হল-
أعوذ بالله السميع العليم من الشيطان الرجيم
هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ(22)هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ(23)هُوَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَى يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ (24)
অর্থ : তিনিই আল্লাহ তাআলা, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই; তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যকে জানেন, তিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা। (২২)
তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই। তিনিই একমাত্র মালিক, পবিত্র, শান্তি ও নিরাপত্তাদাতা, আশ্রয়দাতা, পরাক্রান্ত, প্রতাপান্বিত, মাহাত্মশীল। তারা যাকে অংশীদার করে আল্লাহ তা’ আলা তা থেকে পবিত্র। (২৩)
তিনিই আল্লাহ তাআলা, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, উত্তম নামগুলো তারই। নভোমণ্ডলে ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে, সবই তার পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময়। (২৪) -সুরা হাশর
সুরা হাশর পবিত্র কোরআনুল কারিমের ৫৯ নম্বর সুরা। সুরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। সুরা হাশরের আয়াত সংখ্যা ২৪টি। আর রুকু সংখা হলো তিন।