সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমে বাস দুর্ঘ’টনায় ১৩ বাংলাদেশি নি’হত এবং ১৭ জন আ’হত হয়েছেন। হতাহত আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম (প্রেস) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, নোয়াখালীর শহিদুল ইসলাম ও মো. হেলাল, কুমিল্লার মুরাদনগরের মামুন মিয়া ও রাসেল মোল্লা, দেবিদ্বারের গিয়াস হামিদ, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কক্সবাজারের মোহাম্মদ হোসেন, মহেশখালীর মো. আসিফ ও সিফাত উল্লাহ, গাজীপুরের টঙ্গির মো. ইমাম হোসাইন রনি, চাঁদপুরের রকু মিয়া এবং যশোরের মোহাম্মদ নাজমুল ও রনি।
জীবিতরা হলেন, সালাহউদ্দিন, পিতা: আবুল বাশার, সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম, আল আমিন, বুরহান উদ্দিন, ভোলা, মিনহাজ, পিতা: সিরাজুল্লাহ, রায়পুরা, লক্ষ্মীপুর, জুয়েল, পিতা: মোঃ জয়নাল, কচুয়া, চাঁদপুর, আফ্রিদি মোল্লা (পাসপোর্ট নং: EA0231718), পিতা: জাকির মোল্লা, শালিকা, মাগুরা, মোঃ রিয়াজ, পিতা: আবু সাইদ, চন্দ্রগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, আব্দুল হাই (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন), রানা (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন), মোঃ সেলিম (A03459571), দেলোয়ার হোসাইন, পিতা: আইয়ুব আলী, লাকসাম, কুমিল্লা, হোসাইন আলী (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন), কুদ্দুস (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন), মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, পিতা: আব্দুল লতিফ, সেনবাগ, নোয়াখালী, ইয়ার হোসাইন, আব্দুল মালেক, মুরাদনগর, কুমিল্লা, মোঃ জাহিদুল ইসলাম, পিতা: মোঃ জজ মিয়া, মুরাদনগর, কুমিল্লা, মিজানুর রহমান, পিতা: ফজলুর রহমান, মোহাম্মদপুর, মাগুরা, মোঃ মোশাররফ হোসাইন, পিতা: কাজী আনোয়ার হোসাইন, সদর, যশোর
বাসে বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন ৩৫ জন। তাদের মধ্যে ১৭ জন আহতাবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ১৩ জন নিহত ছাড়াও এখন পর্যন্ত ৫ জন বাংলাদেশি নিখোঁজ আছেন। ধারণা করা হচ্ছে তারা সবাই মারা গেছেন। পুড়ে যাওয়ায় মরদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না।
অন্যান্য দেশের ১২ জন যাত্রীর মধ্যে ৫ জনকে মৃত এবং ৭ জনকে আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা যায়।