জিলহজ মাসের ৯ তারিখ আরাফা ময়দানে অবস্থান করেন হাজিরা। সেদিন মসজিদে নামিরাহ থেকে হাজিদের উদ্দেশে খুতবা পাঠ করা হয়।এবার মসজিদে নামিরাহ থেকে দেওয়া হজের খুতবা বাংলাসহ বিশ্বের ১৪টি ভাষায় লাইভ অনুবাদ করা হবে।
খুতবার অনুবাদ সর্বোচ্চসংখ্যক শ্রোতার কাছে পৌঁছাতে সৌদি কর্তৃপক্ষ এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী বিষয়ক ওয়েব পোর্টাল হারামাইন শরিফাইন।
গতবারের হজে মোট ১০ ভাষায় হজের খুতবা সম্প্রচারিত হয়েছিল। যার মধ্যে বাংলা ভাষাও ছিল।
৯ জিলহজ মসজিদে নামিরাহ থেকে মুল খুতবা আরবিতে দেওয়া হবে। তবে, সৌদি আরবের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে লাইভ অনুবাদ সম্প্রচার করা হবে। এবছর যে ১৪ ভাষায় খুতবাটি সম্প্রচার হবে তাহলো—ইংরেজি, ফরাসি, মালয়, উর্দু, ফার্সি, রুশ, চীনা, বাংলা, তুর্কি, হাউসা, স্প্যানিশ, হিন্দি, তামিল ও সোয়াহিলি।
পবিত্র দুই মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগের প্রধান শায়খ আবদুর রহমান আল-সুদাইস বলেন, ব্যাপক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই বছর ১৪টি ভাষায় খুতবা অনুবাদের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আল-সুদাইস বলেন, খুতবার অনুবাদের মাধ্যমে বিশ্বের নানা দেশের হজযাত্রীরা নিজ দেশের ভাষায় কথা শোনার সুযোগ পাবেন।
ইসলামের সম্মানিত স্থানগুলোতে নিজের ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ সেবা ও নির্দেশনা পাওয়া একজন বিদেশির জন্য সত্যিই অন্য রকম অনুভূতি। ‘মানারাতুল হারামাইন’ ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ‘আল কোরআন’ ও ‘আস সুন্নাহ’ চ্যানেলে তা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব ও টুইটারেও তা লাইভ শোনা যায়।
আরাফা প্রাঙ্গণে অবস্থিত মসজিদে নামিরাহ থেকে খুতবাটি দেওয়া হয়। এই স্থানে মহানবী মুহাম্মদ (সা.) প্রদত্ত খুতবাটি বিদায় হজের ভাষণ নামে পরিচিত। ঐতিহাসিক ওই ভাষণে তিনি ইসলামের শিক্ষা, মানবাধিকার, নারী অধিকারসহ বিভিন্ন সামাজিক ঘোষণা দিয়েছিলেন।