হাউজে কাউছারের পানি থেকে বঞ্চিত হবে যারা

হাউজে কাওসার জান্নাতের একটি বিশেষ ঝর্ণা। এর পানি হবে সবচেয়ে বেশি মিষ্টি ও তৃপ্তিকর। হাউজে কাওসার সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল সা. এর বাণি বর্ণিত আছে। কেয়ামতের দিন মানুষ ভয়াবহ পরিবেশে তৃষ্ণার্ত থাকবে। তারপর আল্লাহ তাআলা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দায়িত্ব দেবেন, তার প্রিয় উম্মতকে তৃষ্ণা নিবারণের।

আল্লাহ তাআলা সব নবির জন্যে হাউজে কাওসার তৈরি করেছেন। তবে আমাদের নবি মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য আল্লাহ তাআলা বিশেষ হাউজ তৈরি করে রেখেছেন। যা অন্যান্য নবি-রাসুলদের হাউজের চেয়ে অনেক বড় ও এর পানীয় সবচেয়ে বেশি মিষ্টি হবে এবং হাশরের দিন এর পানকারী হবে সবার চেয়ে অধিক।

কেমন হবে

হাউজে কাউছার কেমন হবে এর বর্ণনায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- ১. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমার হাউজের প্রশস্ততা এক মাসের পথের দূরত্বের সমপরিমাণ। এর পানি দুধের চেয়েও সাদা, সুগন্ধি, মিশক আম্বরের চেয়েও অধিক খোশবুদার। এর পেয়ালা আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্ররাজির তুল্য। যে একবার এর শরবত পান করবে সে কখনো আর পিপাসিত হবে না।-বুখারি ও মুসলিম

এ পানির ভাগ্যবান পানকারী যারা

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাতের অনুসারী, তাঁর পথ ও মতের ধারক বাহকরাই তাঁর কাছে হাউজের পাশে অবস্থান গ্রহণের সুযোগ পাবে। আর তারা, যারা কবিরা গোনাহ থেকে বেঁচে ছিল। আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমাদের যা নিষেধ করা হয়েছে তার মধ্যে যা কবিরা গোনাহ তা থেকে বিরত থাকলে আমি তোমাদের ছোট গোনাহগুলো ক্ষমা করবো এবং তোমাদের সম্মানজনক স্থানে প্রবেশ করাবো।’-সূরা নিসা : ৩১

হাউজে কাউসার থেকে পানি পান করার আরও কারণের মধ্যে রয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর অধিক পরিমাণে দরূদ শরিফ পাঠ করা। আমল এবং এর প্রতিদানের মাঝে একটা সুন্দর মিল রয়েছে। যে দুনিয়ায় নবীর শরিয়তের অনুসরণ করবে, তাঁর পথ ও মতকে আঁকড়ে ধরবে এবং এর ওপরই মৃত্যুবরণ করবে, সে তার আমলের প্রতিদান হিসেবে হাউজে কাউসারে উপনীত হবে। আর যে দ্বীনের মাঝে পরিবর্তন করবে, বেদাত করবে সে সত্যবিমুখ হওয়ার করণে বাধাগ্রস্ত ও বঞ্চিত হবে। হাউজে কাউসারের প্রতি বিশ্বাস রাখা ঈমানের অন্তর্ভূক্ত। যে হাউজে কাউসারের প্রতি ঈমান রাখবেন না তার ঈমান থাকবে না।

যারা হাউজে কাওসার থেকে বঞ্চিত থাকবে

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত । নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, -কেয়ামতের দিন আমার উম্মতের একটি দল আমার কাছে আসতে চাবে, কিন্তু তাদের বাধা দেওয়া হবে। এরপর আমি বলবো- হে আমার রব! ওরা আমার উম্মত। আল্লাহ তাআলা বলবেন, ‘তুমি জান না এরা তোমার অবর্তমানে ধর্মের নামে নতুন নতুন পন্থা আবিষ্কার করেছে। নিশ্চয়ই এরা পশ্চাৎমুখী হয়ে মুরতাদ হয়েছিল। রাসুল সা. চাইলেও তাদের পান করাতে পারবেন না। -বুখারি ও মুসলিম

এ জাতীয় আরো সংবাদ

মুসল্লিদের নামাজে বাধা দেওয়ার কোনো অধিকার ইসরাইলের নেই: ফিলিস্তিন

নূর নিউজ

প্রকৃত মুমিন হতে চাইলে যে গুণ থাকতে হবে

নূর নিউজ

জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজের জায়গা নির্ধারণ করে রাখা যাবে?

নূর নিউজ