হাদিসে বর্ণিত ৯ টি কবিরা গুনাহ

কবিরা গুনাহ বলা হয়, যে গুনাহর জন্য পার্থিব জীবনে হদ বা শাস্তি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, যেমন—নিরপরাধ মানুষ হত্যা, ব্যভিচার, চুরি ইত্যাদি। কিংবা যে পাপের জন্য পরকালে জাহান্নাম বা আল্লাহর ক্রোধ কিংবা অভিসম্পাতের কারণ বলে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে, যেমন—সুদ খাওয়া, মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া ইত্যাদি। এগুলো কবিরা গুনাহ।

তায়সাল ইবনে মায়্যাস রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত ছিলাম। আমি কিছু পাপকাজ করে বসি যা আমার মতে কবিরা গুনাহের শামিল। আমি তা ইবনে ওমর রা.-এর কাছে উল্লেখ করলে তিনি জিজ্ঞেস করেন, তা কি? আমি বললাম, এই এই ব্যাপার। তিনি বলেন, এগুলো কবীরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত নয়। কবীরা গুনাহ নয়টি—

১. আল্লাহর সাথে শরীক করা। ২. মানুষ হত্যা। ৩. জিহাদের ময়দান থেকে পালিয়ে যাওয়া। ৪. সতী-সাধ্বী নারীর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের মিথ্যা অপবাদ রটানো।

৫. সূদ খাওয়া। ৬. ইয়াতীমের মাল আত্মসাৎ করা। ৭. মসজিদে ধর্মদ্রোহী কাজ করা। ৮. ধর্ম নিয়ে উপহাস করা এবং ৯. সন্তানের অসদাচরণ যা পিতা-মাতার কান্নার কারণ হয়।

ইবনে ওমর রা. আমাকে বলেন, তুমি কি জাহান্নাম থেকে দূরে থাকতে এবং জান্নাতে প্রবেশ করতে চাও? আমি বললাম, আল্লাহর শপথ! আমি তাই চাই। তিনি বলেন, তোমার পিতা-মাতা কি জীবিত আছেন? আমি বললাম, আমার মা জীবিত আছেন। তিনি বলেন—

আল্লাহর শপথ! তুমি তার সাথে নম্র ভাষায় কথা বললে এবং তার ভরণপোষণ করলে তুমি অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে, যদি কবিরা গুনাহগুলো থেকে বিরত থাকো। ( আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ০৮, তাবারীর তাফসীর, আবদুর রাযযাক আল-খারাইতীর মাসাবিউল আখলাক)।

গুনাহ হয়ে গেলে তওবার নামাজ পড়া উচিত সবার। হাদিসে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যদি কেউ গুনাহ করে ফেলে, তারপর পবিত্রতা অর্জন করে— দুই রাকাত সালাত আদায় করে; আর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তবে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩২৭৬)

এ জাতীয় আরো সংবাদ

খতমে নবুওয়তের প্রতিনিধি ও উলামা মাশায়েখ সম্মেলন সফল করুন

নূর নিউজ

নামাজের বিরতি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় যাত্রীকে গ্রীনলাইনে না উঠার আহ্বান

নূর নিউজ

বিশ্বখ্যাত ভারোত্তলক রেবেকার ইসলাম গ্রহণ

আনসারুল হক