গত শুক্রবার রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শেষে দুপক্ষের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে মাদ্রাসাছাত্র হাফেজ রেজাউল করিম হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ কওমী ছাত্র ফোরাম।
রোববার (৩০ জুলাই) সংগঠনটির আহ্বায়ক তানজিল আমির ও সদস্য সচিব জামিল সিদ্দিকী এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে আমরা জেনেছি যে- ‘জন্ডিস আক্রান্ত রেজাউলের শরীরে জ্বর ছিল। ওষুধ কিনতে ঢাকার গুলিস্তানে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে আটকে মারপিট ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’ একজন অসুস্থ মানুষ যিনি তার ওষুধের প্রয়োজনে বেরিয়েছেন- তার এমন মৃত্যু অনাকাঙ্খিত, বর্বর ও হতাশার। কোনো সভ্য সমাজে এমন ঘটনা ঘটতে পারেনা, ঘটলেও কেউ নির্বিকার থাকতে পারেনা।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা ও আসামিদের গ্রেফতার না হওয়া হতাশাজনক উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডের দুইদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও এ বিষয়ে প্রশাসন তৎপর হয়নি। যা খুবই দুঃখজনক। দেশের প্রতিটি নাগরিক রাষ্ট্রের কাছে সমান অধিকার ও ন্যায়বিচারের অধিকার রাখে। এ হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক বিবেচনায় না দেখে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ওই এলাকার সব সিসিটিভি ও ভিডিও ফুটেজ চেক করে খুনিদের চিহ্নিত করতে হবে। ওই সংঘর্ষে জড়িত মূল হোতাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। এছাড়া হাফেজ রেজাউলের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের প্রতিনিধিত্বশীল এ সংগঠনটির দায়িত্বশীলরা মনে করেন, কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের অধিকার ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কওমী শিক্ষাবোর্ডগুলোর আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারেও সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে যথাযথ ভূমিকা নিতে হবে।