হামাসের ভয়ে কাঁপছে ইসরায়েলিরা, অস্ত্রের লাইসেন্সের আবেদনের হিড়িক

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ঢুকে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী, ওই হামলায় এক ২০০ মানুষকে হত্যা করা হয়। তাদের মধ্যে প্রায় সাড়ে তিনশ’ই সেনা সদস্য। একই সঙ্গে প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। হামাসের এই হামলার পর থেকে ইসরায়েলজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এর জেরে ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রায় দুই লাখ অস্ত্রের লাইসেন্সের আবেদন জমা পড়েছে। সোমবার এ তথ্য জানা গেছে।

ইসরায়েলের সংবাদপত্র ক্যালকালিস্ট জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধের শুরুর পর থেকে অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন জমা পড়েছে এক লাখ ৯০ হাজারেরও বেশি। ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে এসব আবেদন করা হয়।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বছরের প্রথম ১০ মাসে দুই লাখ ১০ হাজারের বেশি অস্ত্র লাইসেন্সের আবেদন জমা পড়েছে। বছরের এখনও প্রায় দুই মাস বাকি রয়েছে।

২০২৩ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০২২ সালে ৪১ হাজার আবেদনের বিপরীতে ১৩ হাজার লাইসেন্স দেওয়া হয়।

সংবাদপত্রটির মতে, চলমান যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলে বন্ধ হওয়া অনেক ব্যবসার বিপরীতে অস্ত্র শিল্পের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।

সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার ৩৮তম দিন পর্যন্ত কমপক্ষে ১১ হাজার ১৮০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যার মধ্যে সাত হাজার ৭০০ শিশু ও নারী। আহত হয়েছেন ২৮ হাজার ২০০ জনেরও বেশি।

গত মাস থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচারে বিমান ও স্থল হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ ও গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। বাস্তচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

এ জাতীয় আরো সংবাদ

বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র

নূর নিউজ

কঠিন পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়াল যে ৭ দেশ

নূর নিউজ

হজের মাসে পবিত্র দুই মসজিদে জুমা পড়াবেন যারা

নূর নিউজ