কাজের চিন্তা, উদ্বেগ, মানসিক চাপ কমবে না। দিনে দিনে বেড়েই চলবে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল। অবশ্য রক্তে এই চটচটে পদার্থটির বেড়ে যাওয়ার জন্য শুধু মানসিক চাপের ঘাড়ে বন্দুক রাখলে চলবে না। তার জন্য অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনও দায়ী। অতিরিক্ত তেল-মশলা দেওয়া খাবার খেলে এলডিএল বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, খুব চেনা, সাধারণ কিছু খাবার কিন্তু রক্তে এই ধরনের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। সেগুলি কী কী?
বাদাম
হাড় মজবুত করতে সকালে নিয়মিত ভেজানো কাঠবাদাম খান। তবে রক্তে কোলেস্টেরল ভালো রাখতেও বাদামের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। কাঠবাদাম, পেস্তা, আখরোটের মধ্যে রয়েছে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, সহজপাচ্য ফাইবার এবং প্লান্ট বেস্ড স্টেরল। এই সব উপাদান রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল (এলডিএল) নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
পালং শাক
লুটিন, সহজপাচ্য ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর পালং শাক সামগ্রিকভাবে হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। সালাদ, স্মুদি, ওমলেট কিংবা স্বাস্থ্যকর যেকোনো খাবারেই পালং শাক দেওয়া যেতে পারে।
ডার্ক চকোলেট
ডার্ক চকোলেটের মধ্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। যা রক্তে খারাপ (এলডিএল) কোলেস্টেরল কমিয়ে, ভালো (এইচডিএল) কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে। তবে উপকারী বলে পরিমাণে অনেকটা ডার্ক চকোলেট কিন্তু খাওয়া যাবে না।