হিজাব বাধ্যতামূলক ধর্মীয় অনুশীলন নয় বলে রায় দিয়েছেন কর্ণাটকের হাইকোর্ট। ক্লাসে হিজাব পরার নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করা শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি বিশাল ধাক্কা। নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে পাঁচটি পিটিশন দায়ের হয়েছিল।
রায় ঘোষণাকে সামনে রেখে রাজ্য সরকার রাজধানী ব্যাঙ্গালুরুর শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এক সপ্তাহের জন্য বড় ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করে। ম্যাঙ্গালোরেও ১৫ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। উদুপিতে আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ।
প্রসঙ্গত, গত ১০ ফেব্রুয়ারি যতদিন পর্যন্ত হিজাব-সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি না হচ্ছে, ততদিন স্কুল ও কলেজে হিজাবসহ যেকোনো ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরা যাবে না বলে নির্দেশ দেন কর্ণাটকের হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, জানুয়ারির শেষের দিকে উদুপি সরকারি মহিলা কলেজে যখন ছয় ছাত্রীকে হিজাব পরার কারণে ক্লাস করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন, তখন থেকে এই বিতর্কের সূত্রপাত।
এরই মধ্যে ৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের কর্ণাটকের একটি কলেজের হিজাব পরহিত ছাত্রী মুসকানকে গেরুয়া ওড়না পরা একদল তরুণের বিরুদ্ধে একা দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে।
মুসকানের ওই মোকাবিলা করার ঘটনা ক্যামেরায় ধরা পড়ে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, মান্ডিয়া কলেজে একদল গেরুয়া ওড়না পরা তরুণদের স্লোগান ও চিৎকারের মুখে পড়েন মুসকান, কিন্তু তিনি তাদের রুখে দাঁড়ান।
ওই তরুণরা যখন ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে তার দিকে এগিয়ে আসছিলেন, মুসকানও পাল্টা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে স্লোগান দেন। তারা যখন মুসকানের পিছু পিছু আসছিল তখনও মুসকান ‘আল্লাহু আকবার’…‘আল্লাহু আকবার’ বলছিলেন। একপর্যায়ে ওই কলেজের কর্মকর্তারা তাকে তরুণদের কাছ থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন।