সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়, আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়।
সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির হিসাবে এক সপ্তাহে পণ্যটির দাম ২৫ শতাংশ বেড়েছে। পাইকারি বাজারে গতকাল প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪২ টাকা দরে বেচাকেনা হয়েছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বেচাকেনা হয়েছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা দরে।
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে ঢাকার শ্যামবাজারের বিনিময় ট্রেডার্সের ফারুক হাসান বলেন, বছরের অক্টোবর ও নভেম্বরে পেঁয়াজের দাম বেশি থাকে। কারণ এ সময় কৃষকের মজুত শেষ হয়ে যায়। আমদানিনির্ভরতা বাড়ে। এ জন্য দামও কিছুটা বেড়ে যায়। তবে নভেম্বরের শেষ দিকে দেশের চাষিদের মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করে। ওই সময় দাম আবার কমতে থাকে। তিনি আরও বলেন, এ বছর আরেকটি সমস্যা হয়েছে। সেটা হচ্ছে ভারত থেকে যতটা পেঁয়াজ আমদানি হওয়ার কথা, তা হচ্ছে না। ফলে বাজারে সরবরাহ কম।
দেশে প্রতিবছর ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। কিন্তু সংগ্রহ করার সময় অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়। পাশাপাশি সংরক্ষণের সুব্যবস্থা না থাকায় উৎপাদনের পরও অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়। এ জন্য চাহিদার সমান উৎপাদন হলেও পেঁয়াজের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আমদানিনির্ভর। প্রতিবছর ৮ থেকে ১০ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। প্রধানত ভারত থেকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানি করে থাকেন। এ ছাড়া মিয়ানমার, চীন, তুরস্ক, মিশর থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।