সময় যত যাচ্ছে ততই ঘনিয়ে আসছে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ। এক্ষেত্রে সংবিধান মেনে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফ সরকার। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১২ আগস্টের আগেই তিনি সংসদ ভেঙে দেবেন।
এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ জানিয়েছে, জাতীয় পরিষদের মেয়াদ ১২ আগস্ট শেষ হবে এবং তার আগেই সংসদ ভেঙে দেওয়া হবে। এরপর নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে।
শাহবাজ শরিফ বলেন, জাতীয় পরিষদের বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে পরামর্শ করে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে তিনি সমস্ত মিত্র দল ও পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এন) নওয়াজ শরিফের সাথেও এই বিষয়ে পরামর্শ করবেন।
এদিকে পাকিস্তানের বর্তমান অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করার বিরোধিতা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ। নির্বাচন নিয়ে যেন প্রশ্ন না ওঠে সেজন্য এই পদে নিরপেক্ষ কোনো ব্যক্তিকে চাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগের দিন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তীব্র সমালোচনা করেন শাহবাজ শরিফ।
জিও নিউজের এক অনুষ্ঠানে শাহবাজ শরিফ বলেন, ৯ মের ঘটনার সাথে যারা জড়িত তারা সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাত করতে চেয়েছিল। চক্রান্তকারীরা দেশে ‘অরাজকতা’ এবং ‘যুদ্ধ’ চেয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
দেশটির নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান কে হবেন তা এখনও জানা যায়নি। তবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে বাছাই করা হবে একজন রাজনীতিককে। এ জন্য তারা বিভিন্ন নাম থেকে প্রার্থীদের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করেছে।
তিনি জানিয়েছেন যে, সংক্ষিপ্ত তালিকায় প্রাথমিকভাবে ৫ জনকে বাছাই করা হয়েছে। তবে তাদের নাম বলতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।
খাজা আসিফ বলেছেন, পিপিপি এবং পিএমএলএন একসঙ্গে চার থেকে পাঁচটি নাম চূড়ান্ত করেছে। তা নিয়ে অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এরপর এক সপ্তাহের মধ্যে একটি নাম চূড়ান্ত করা হবে। মিত্র জোটকে এ বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে হবে। ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে।