১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বীকৃতি বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি ও ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে

স্বাধীনতার ৫১ বছর পরেও মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধারা স্বীকৃতি বঞ্চিত থাকাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ নেতৃবৃন্দ। এতে ৮ টি দাবি ও ২ টি কর্মসূচির প্রতি একত্বতা ঘোষণা করা হয়।

প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অবিলম্বে স্বীকৃতি দান, শিক্ষার সকল ক্ষেত্রে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, ইসলামী শিক্ষা সংস্কৃতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ, ডাল-চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং দুর্নীতিবাজ ও দেশের সম্পদ লুটপাটকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ এর উদ্যোগে আজ ২ নভেম্বর, বুধবার, বেলা ১২ টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

 

ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম। বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-এর মহাসচিব, মুহাম্মাদ গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম- সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, ইসলামী ঐক্য আন্দোলন-এর ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ-এর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান।

মানববন্ধনে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ এর পক্ষ থেকে জানানো ৮ দফা দাবি হলো- ১। স্বাধীনতার ৫১ বছর পরেও মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা যেসব প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এখনো স্বীকৃতি বঞ্চিত রয়েছেন তাদেরকে ১৬ ডিসেম্বর’২২ এর মধ্যে স্বীকৃতি দিতে হবে। ২। মুসলিম প্রধান বাংলাদেশের শিক্ষা সংস্কৃতি বিনষ্টের মাধ্যমে ভিন্ন দেশ ও ধর্মের শিক্ষা-সংস্কৃতি প্রবর্তনের চক্রান্ত বাতিল করে চক্রান্তকারীদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।৩। নৈতিকতা সম্পন্ন অপরাধমুক্ত আদর্শ দেশ ও জাতি গঠনে শিক্ষার সকল ক্ষেত্রে মুসলিম ছাত্রদের জন্য ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। ৪। ভোজ্যতেল,চিনি-ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি রোধ করে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে। ৫। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির শত্রু দুর্নীতিবাজ,রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটকারীদের ও বিদেশে দেশের অর্থপাচারকারীদের পরিচয় জাতির সামনে তুলে ধরা। তাদেরকে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের শত্রু হিসেবে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। ৬। শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে এয়ারকন্ডিশনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ৭। গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও চুরি বন্ধ করে আবাসিক গ্রাহকদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।৮। রেমিটেন্স যোদ্ধা প্রবাসীদেরকে বিমান বন্দরে হয়রানী বন্ধ করতে হবে। প্রবাসে বাংলাদেশের দূতাবাস সমূহে প্রবাসীদেরকে যথাযথ মর্যাদা দিতে হবে।

কর্মসূচির মধ্যে – ১। শিক্ষার সকল ক্ষেত্রে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা সহ ২০ দফা দাবিতে আগামী ১০ নভেম্বর’২২ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও একাত্মতা ঘোষণা করা হয়। ২। ইসলামী শিক্ষা সংস্কৃতি বিনষ্টের চক্রান্তের প্রতিবাদে বাংলাদেশ জমিয়তুল মুদাররেসীন ঘোষিত ১৩ দফা দাবিতে ১৪ নভেম্বর’২২ জেলা পর্যায়ে ঘোষিত কর্মসূচির প্রতি একত্মতা ঘোষণা করা হয়।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

সলিহর সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: শেখ হাসিনা

নূর নিউজ

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে

নূর নিউজ

জাবির নতুন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মনজুরুল হক

আনসারুল হক