সৌদিতে বন্দি ৬০০ বাংলাদেশিকে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার
সৌদি আরবের কারাগারে আটক থাকা ৬০৩ বাংলাদেশিকে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে, দেশটির সব জেলখানায় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘নোট ভারবাল’ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস। যেখানে পরবর্তীতে সৌদি আরবের ১৭টি কারাগারে ৬০৩ জন বাংলাদেশি আটক আছেন বলে জানা গেছে।
রিয়াদ দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে এসব বন্দিদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া কিছুটা স্থির ছিল। তবে পরিস্থিতি এখন কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় এ বিষয়ে পুনরায় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জেদ্দাহসহ ১৭টি জেলে মোট ৬০৩ জন বাংলাদেশি বন্দি আছেন। সমস্যা হয়েছে করোনার কারণে এতদিন আমরা জেলগুলোতে পরিদর্শন সুযোগ পেতাম না। বর্তমানে এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে উপায় বের করেছি। ইতোমধ্যে জেদ্দার কনস্যুলেটের মাধ্যমে সৌদির সব জেল ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি ‘নোট ভারবাল’ পাঠানো হয়েছে বলে আমুনুল ইসলাম জানান।
দূতাবাস জানায় নোট ভারবালে সৌদি সরকারকে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। প্রস্তাবগুলো হচ্ছে-
২। যাদের সাজার মেয়াদ এক-চতুর্থাংশ শেষ হয়েছে তাদের উত্তম ব্যবহারের ভিত্তিতে অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করে দেশে ফেরত পাঠানো।
৩। যারা প্রথম অপরাধে আটক হয়েছেন তাদের সাজার মেয়াদ মওকুফ করে দেশে পাঠানো।
৪। যারা তুচ্ছ ও ছোট অপরাধে আটক হয়েছেন তাদেরও সাজা মওকুফ করে দেশে ফেরত পাঠানো।
দূতাবাসের দেয়া তথ্য মতে, সৌদি আরবের মালাজ জেলে ৯৭, আল হায়ের জেলে ১৮৭, দাম্মাম সেন্ট্রাল জেলে ১৫৬, আল হাসা জেলে ৩১, আল খোবার জেলে ৩৩, আল জোবাইল জেলে ৪৯, কাতিফ জেলে ১২, হাফার আল বাতেন জেলে ১৯, হাইল জেলে ১৮, বুরাইদাহ জেলে ১৮, কুরাইয়াত জেলে ১, আরার জেলে ৩, সাকাকা জেলে ৬ জন বাংলাদেশি আটক রয়েছেন।
সৌদি আরবের জেলে থাকা বাংলাদেশিদের বেশিরভাগ রেসিডেন্সি আইন বা লেবার আইন ভঙ্গের কারণে আটক রাখা হয়েছে।