প্রায় ৯ বছর ধরে ইরানের নাগরিকদের ওমরাহ পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছিল সৌদি আরব। অবশেষে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে ইরানের হজযাত্রীদের প্রথম গ্রুপটি সৌদিতে ওমরাহ পালনের জন্য গতকাল সোমবার যাত্রা করেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সাম্প্রতিক মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ দুইটির মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করায় ইরানিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে গত ডিসেম্বরে ইরানের গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয় যে, ওমরাহ করতে ইচ্ছুক ইরানিদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সৌদি আরব। কিন্তু তার পরও গত কয়েক মাসে ইরান থেকে সৌদিতে কোনো ফ্লাইট যায়নি। এই বিষয়টিকে ‘যান্ত্রিক সমস্যা’ বলে উল্লেখ করেছে তেহরান।
গত বছরের মার্চ মাসে ইরান এবং সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করতে চীন একটি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করে। ২০১৬ সালে রিয়াদে একজন শিয়া মুসলিম নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কারণে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়। ইরান ও সৌদির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই ইরানের নাগরিকরা শুধু হজ পালনের অনুমতি পাচ্ছিলেন। হজের ব্যাপারে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও প্রায় ৯ বছর ধরে ইরানি নাগরিকদের সৌদিতে ওমরাহ পালনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
ইসলাম ধর্মের মূল স্তম্ভের মধ্যে পঞ্চম স্তম্ভ হচ্ছে হজ। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে সৌদিতে বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ মুসল্লি হজ পালন করে থাকেন। তবে বছরের যে কোনো সময়ই ওমরাহ পালন করা যায়। প্রথম দফায় তেহরান থেকে ৮৫ জন ইরানি নাগরিক ওমরাহ পালনের জন্য সৌদিতে যাচ্ছেন। তেহরানের প্রধান বিমানবন্দরে তাদের বিদায় দিতে উপস্থিত ছিলেন ইরানে নিযুক্ত সৌদির রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ বিন সৌদ আল-আনজি।