মেয়র নির্বাচিত হলে সর্বস্তরে জবাবদিহি নিশ্চিত করার অঙ্গীকার গাজী আতাউর রহমানের
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, আমি মেয়র নির্বাচিত হলে প্রতি সপ্তাহে জনগণের মুখোমুখি হবো। জিসিসির প্রতিটি ওয়ার্ড কমিশনার ও জিসিসির বিভিন্ন বিভাগের নির্বাহীগণও প্রতি মাসে জনতার মুখোমুখি হবেন। নগর ভবন সকল নগরবাসীর জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ওয়ান স্টপ সেবা প্রদান করা হবে। নগরীর উন্নয়ন ও পরিকল্পনা প্রণয়নে নাগরিকদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি নগর বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হবে। সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি বাস্তবায়ন ও তদারকির জন্য বিশিষ্ট নাগরিক ও আলেম উলামাদের নেতৃত্বে নাগরিক কমিটি গঠন করা হবে।
আজ ১৯ মে, শুক্রবার, সালনা থানাধীন ১৯ ওয়ার্ডের নাগায় পথসভা ও সালনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমআর নামাজ আদায় শেষে জনসংযোগ কালে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
গাজী আতাউর রহমান বলেন, আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কাঠামোর পরিবর্তন ও সংস্কার। সিটি কর্পোরেশনকে গতিশীল ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্ট বা নগর সরকার গঠন করা একান্ত প্রয়োজন। বর্তমানে ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক কাঠামো ও আইন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে দেশের সিটি কর্পোরেশনগুলো। সিটি কর্পোরেশনে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ জন্য বর্তমানে সিটি কর্পোরেশনগুলো নগরবাসীর চাহিদা অনুযায়ী সেবা প্রদানে ব্যর্থ হচ্ছে। হোল্ডিং ট্যাক্স, আবর্জনা পরিষ্কার আর রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ছাড়া দৃশ্যত সিটি কর্পোরেশনগুলোর আর কোনো কর্মকাণ্ড চোখে পড়ছে না।
কার্যত নাগরিক সেবার মধ্যে থাকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, গ্যাস,পানি, পয়ঃপ্রণালি, জলাবদ্ধতা, যানবাহন, সড়ক, নগর পরিচ্ছন্নতা, পরিবেশ,যানজট এবং নাগরিক নিরাপত্তায় আধুনিক নগর পরিকল্পনা প্রণয়ন; যা পুরাতন আইন ও ব্যবস্থা দিয়ে বর্তমান সিটি কর্পোরেশনগুলোর পক্ষে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আধুনিক রাষ্ট্র ও জাতিগঠনে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, পানি,পাতাল রেল, মনোরেল ও যানজটমুক্ত শহরসহ নগরবাসীর সেবা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় নগর সরকার প্রয়োজন।গাজীপুর নগর সরকারে মেট্রোপলিটন কাউন্সিল থাকবে। মেট্রোপলিটন কাউন্সিলে সব শ্রম-কর্ম-পেশার প্রতিনিধি, সব সেক্টর কর্পোরেশন, অধিদফতর, সমবায়, এনজিও, উলামা, নারী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি থাকবেন।