নূর নিউজ ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০২০,০৩ :৪৬ এএম
মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয়গ্রন্থ পবিত্র কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে সুইডেনের দক্ষিণাঞ্চল মালমো শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। শহরটিতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার ঘটনাও ঘটেছে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ইসলাম ধর্মের প্রধান পবিত্র গ্রন্থ কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে মালমো শহরের কয়েকশ’ বিক্ষোভকারী অংশগ্রহণ করেন। সুইডিশ পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, মুসলিমবিরোধী ডানপন্থী দলের কর্মীরা কোরআন পোড়ানোর মিছিল শুরু করার আগে বিক্ষোভটি শুরু হয়। এতে ইট নিক্ষেপ ও গাড়ির টায়ারে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। পুলিশের বর্ণনা মতে, শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বিক্ষোভের ঘটনার কিছুক্ষণ পরই মুসলিমবিরোধী ডেনিশ নেতাকে কোরআন পোড়ানোর মিছিলে অংশগ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়।
পুলিশের মুখপাত্র লিকার্ড লুন্ডকাভিস্ট স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ইতিপূর্বে সংঘটিত আরেকটি ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনাটি সম্পৃক্ত। সেদিন তারা ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন পুড়িয়েছিল। বিক্ষোভের দিন অভিবাসনবিরোধী ডানপন্থী দল হার্ড লাইনের ডেনিশ নেতা রাসমেস পেলুডানের মালমো শহরের এক সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মালমোতে প্রবেশের আগেই পেলুডানকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং দুই বছরের জন্য তার ওপর সুইডেন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। মালমোর পুলিশের মুখপাত্র কলি পারসন এএফপিকে বলেন, আমাদের মনে হচ্ছে যে তিনি সুইডেনে আইন লঙ্ঘন করতে চলেছেন। এছাড়া তার আচরণ সমাজের জন্য হুমকির কারণ হওয়ার ঝুঁকিও আছে।’ স্থানীয় গণমাধ্যমের স‚ত্র মতে, মালামোর কোরআন পোড়ানোর স্থানটিতে ক্রমান্বয়ে বিক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত শুক্রবার মালামোতে ইসলামবিরোধী অনেক দল কোরআন অবমাননার জন্য সমবেত হয়েছিল। জনসম্মুখে তারা কোরআনের কপিতে পদাঘাত করেছিল। গতবছর ডানপন্থী নেতা পেলুদান কোরআন পুড়িয়ে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। শূকরের মাংসে আবৃত কোরআনের একটি কপি নিয়ে বলেন, এ খাদ্য যা মুসলিমদের জন্য অভিশাপ বয়ে আনছে। ওই সময়ে ধারণ একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একদল মানুষ আল্লাহু আকবার বলে স্লোগান দিতে দিতে দৌড়াচ্ছে।
আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় ব্যস্ত পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে পাথর ও ইট ছোড়ার পাশাপাশি তাঁদের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। অনেক জায়গাতে আবার ভাঙচুর চালানোর পর পুলিশের গাড়িগুলির টায়ার খুলে রাস্তায় উপরে রেখে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
-ফাস্ট পোস্ট, নিউ ইয়র্ক টাইমস, রয়টার্স।