নূর নিউজ: যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসার মুহতামিম ও মজলিসে দাওয়াতুল হকের আমীর আল্লামা মাহমুদুল হাসান গত ৩ অক্টোবর আমেলা সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। পদাধিকারবলে তিনিই কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের সর্বোচ্চ অথরিটি আল হাইয়াতুল উলিয়ারও চেয়ারম্যান হিসেবে ও দায়িত্ব পালন করবেন।
আল্লামা মাহমুদুল হাসান বেফাকের চেয়ারম্যান মনোনীত হওয়ায় কাতারস্থ আলনুর কালচারাল সেন্টারের মহাপরিচালক প্রকৌশলী শোয়েব আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক মাওলানা ইউসুফ নূর ও সহকারী শিক্ষা পরিচালক মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আজ ৫ অক্টোবর সােমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আল নূর পরিচালকবৃন্দ বলেন, আল্লামা মাহমুদুল হাসান পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্বের নাম। আড়ালে অন্তরালে থেকে দ্বীনের খেদমত করে যাচ্ছেন। রাজনীতি বিমূখ এই মহান শিক্ষাবিদ ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিকাশের লক্ষ্যে প্রায় ৪০০ প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধান করছেন। মজলিসে দাওয়াতুল হকের মাধ্যমে তিনি সারা বাংলাদেশে কোরআন ও হাদিসের ঐশী বাণী পৌঁছে দেয়ার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে আধ্যাত্মিক শক্তিতে বলিয়ান করতে তার প্রচেষ্টা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। তার বাগ্মিতা ও লেখনি শক্তিকেও তিনি ইসলামের প্রচারে নিয়োজিত রেখেছেন।এই সাধক মনীষী মুহতামিম শাইখুল হাদিস বক্তা লেখক ও খতিবের দায়িত্ব পালনের বিনিময়ে কোন বেতন-ভাতা নেন না,যা এই যুগে বিরল।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, দীর্ঘদিন গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব থাকায় প্রশাসন এবং সরকারের সঙ্গে আল্লামা মাহমুদুল হাসানের সুসম্পর্ক রয়েছে। তবে দীর্ঘদিনের এই সুসম্পর্কের মাধ্যমে কোন প্রকার দুর্নীতি অথবা অনিয়মে জড়াননি তিনি। সততা নৈতিকতা ও আদর্শে অবিচল ছিলেন বলেই প্রতিটি সরকারের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাগণ তাকে সমীহের চোখে দেখেন। আমাদের বিশ্বাস,তার মাধ্যমে সরকার ও উলামাদের মাঝে দ্বীনি সম্পর্কের আরো উন্নয়ন হবে। কওমি শিক্ষার মানোন্নয়ন ও বহির্বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে মুআদালা করার ক্ষেত্রে আগামীতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলেও আমরা আশা করছি।