হেফাজেতর ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি পালিত: তিন দফা দাবি পেশ

ফ্রান্সে মহানবী (সা.) শানে বেয়াদবির দরুণ মুসলিম উম্মাহ’র হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। লাখো মুসল্লির ক্ষোভে উত্তাল ঢাকার রাজপথ। কিছুটা প্রশান্তির জন্য রোদের মাঝেই ঢাকায় ছুটে এসেছেন পায়ে হেঁটে দূরদূরান্ত থেকে মুসল্লিরা। হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর পূর্ব ঘোষিত ঢাকাস্থ ফরাসি দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নিতে গতকাল সোমবার সকাল ১১ টার মধ্যেই নগরীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ ও আশপাশ এলাকা জনসমূদ্রে পরিণত হয়।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ’র ছবিতে জুতোর মালা, হাতে ফেস্টুন, কালেমা খচিত পতাকা ব্যানার নিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মিছিলে অংশ নেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। বিক্ষুদ্ধ মুসল্লিদের একই দাবি নবীর (সা.) শানে বেয়াদবির কারণে মুসলিম উম্মাহ’কে ফ্রান্সের সাথে পরিপূর্ণভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। ’বিশ্বনবীর অপমান সইবে নারে মুসলমান’ ’ম্যাখোঁর দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’ ’বিশ্বমুসলিম এক হও লড়াই করো’ ফ্রান্স বিরোধী শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হঠে রাজপথ।

নবীপ্রেমিকদের স্বতঃস্ফূর্ত পদচারনায় মিছিলের নগরীতে পরিণত হয় ঢাকা। এতে রাজধানীর প্রবেশ পথসহ বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগের কবলে পড়েন। ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। অনেক সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হাজার হাজার নারী পুরুষ যাত্রী যানবাহন থেকে নেয়ে ঢাকার দিকে পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেন। এসময়ে অসুস্থ রোগী ও শিশুদের নিয়ে বিপাকে পড়েন স্বজনরা।

ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডের সাইনবোর্ড, নারায়ণগঞ্জের জালকুড়ি ভূঁইগড়, পোস্তগোলা, নয়াবাজার, শাহবাগ, গাবতলী, মহাখালী, টংগী এলাকায় ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফরাসি দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে গতকাল এমন চিত্র ফুটে উঠে। ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে হাজার হাজার নবীপ্রেমিক মুসল্লি খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেন। ভোর ৬টা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তারা এখানে জড়ো হতে শুরু করেন। এতে বিজয়নগর, প্রেসক্লাব থেকে পল্টন, গুলিস্তান সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়। আশপাশের এলাকায় প্রচুর সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

ফ্রান্সে মহানবী (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র কার্টুন প্রকাশের প্রতিবাদে বাংলাদেশসহ মুসলিম দেশগুলোকে দেশটির সাথে পরিপূর্ণভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহবান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। দেশটিতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় মহানবী (সা.)এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ফ্রান্সের সকল পণ্য বর্জন করে ঈমানী দায়িত্ব পালনের আহবান জানানো হয়।

যারা নবী (সা.) ও কুরআনের সাথে বেয়াদবি করবে তাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়নের জোর দাবি জানানো হয় বিক্ষোভ সমাবেশে। মহানবী (সা.) ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের প্রতিবাদে গতকাল বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও পূর্ব বিক্ষোভ সমাবেশে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান জানান। ফ্রান্স বিরোধী দাবি দাওয়া মেনে নেয়া না হলে হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে সরকারের উদ্দেশ্যে ঘোষণা দেয়া হয় আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে মহানবী (সা.) অবমাননার প্রতিবাদে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনুন। ফ্রান্সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনীর প্রতিবাদে সরকারকে ৩ দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। দাবিগুলো হচ্ছে, ফ্রান্সের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন, রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার ও দূতাবাস বন্ধ করে দেয়া। সোমবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির মিছিল থেকে এ ঘোষণা দেন হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। এখানে মোনাজাতের মাধ্যমে ঘেরাও মিছিল সমাপ্ত করেন হেফাজতের ঢাকা মহানগীরর আমীর আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী। দলীয় সিদ্ধান্তে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।

সমাবেশে হেফাজতের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ফ্রান্সের বক্তব্যের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা ও ঘৃণা প্রস্তাব আনার দাবি জানান। এছাড়া ফ্রান্সের পণ্য বর্জন এবং বাংলাদেশ থেকে ফরাসি দূতাবাস বন্ধ করে দেয়ারও দাবি জানান তারা। দুপুর ১২ টা ৮ মিনিটে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে ফরাসি দূতাবাস অভিমুখে লাখো মুসল্লির মিছিল শুরু হয়। একটি ট্রাকে আরোহণ করে মিছিলে নেতৃত্ব দেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী ও আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী। মিছিলটি শান্তিনগর এলাকায় পৌঁছলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরী আমীর আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জ্বী, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর ও আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহফুজে খতমে নবুওয়ত এর সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মো. নূরুল ইসলাম জেহাদী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সিনিয়র সহসভাপতি আল্লামা আব্দুর রব ইউসুফী, ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির আহবায়ক মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলনের সভাপতি ও বাহাদুরপুর পীর সাহেব মাওলানা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান, বেফাক এর মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, ঘেরাও কর্মসূচির সদস্য সচিব মাওলানা মামুনুল হক, হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক শাইখুল হাদিস মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, হেফাজতে ইসলাম কামরাঙ্গীরচর জোনের সভাপতি ও খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী,বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ আজহারী, মাওলানা হাসান জামিল, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী মাওলানা শফিক উদ্দিন ও মুফতি মাসউদুল করিম। বিক্ষোভ সমাবেশ পরিচালনায় ছিলেন মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লাম জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, এতদিন ব্যক্তিগতভাবে নবী (সা.) এর সাথে বেয়াদবি করা হয়েছে। এখন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশটি ওয়ালে ওয়ালে মহানবী (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র কার্টুন প্রকাশ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ মুসলিম দেশগুলোকে ফ্রান্সের সাথে পরিপূর্ণভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। মহানীর সাথে বেয়াদবির কারণে দেশটি সকল পণ্য বর্জনের মাধ্যমে ঈমানি পরীক্ষা দিতে হবে। আল্লামা বাবুনগরী জাতিসংঘের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ফ্রান্সের সকল পণ্য বর্জনের জন্য নির্দেশনা জারি করুন। তিনি বলেন, রিজিকের মালিক একমাত্র আল্লাহ। দোকানদার ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নবী (সা.) ইজ্জতের ওপর আঘাত এসেছে তাই ফ্রান্সের সকল পণ্য দোকান থেকে ফেলে দিন। আল্লামা বাবুনগরী বাংলাদেশ সরকারসহ মুসলিম দেশগুলোর উদ্দেশ্যে বলেন, নবী(সা.) ও কুরআনের সাথে যারা বেয়াদবি করবে তাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়ন করুন। আল্লামা বাবুনগরী শান্তিপূর্ণ দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করায় সকলকে মোবারকবাদ জানান।

সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী বলেন, অত্যন্ত ব্যথার সাথে বলছি ফ্রান্স নবী (সা.) সাথে বেয়াদবি করে দুই শত কোটি মুসলমানের হ্নদয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিন্টে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত এ আগুন নেভানো যাবে না। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, অনতিবিলম্বে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনুন। ঢাকায় ফরাসি দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ করুন। আমাদের দাবি পূরণ করতে ব্যর্থ হলে হেফাজতের আন্দোলন ঈমানী আন্দোলনের রূপ নিবে। আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, মসজিদের শহর ঢাকায় মূর্তি নির্মাণ বন্ধ করুন।

মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জ্বী বলেন, এদেশের ঈমানদার মুসলমানরা জাগ্রত আছেন। এতো প্রতিবাদের পরেও প্রধানমন্ত্রী কেন নিশ্চুপ! তা’ বুঝে আসে না। অবিলম্বে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনুন এবং দেশটির সকল পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিন। তিনি বলেন, জাতিসংঘে ফ্রান্সের স্থায়ী পদ বাতিল করতে হবে। আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, ভারতের মোদি ফ্রান্সের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। নবীর ইজ্জত রক্ষায় ফ্রান্সের পণ্যের সাথে সাথে ভারতের সকল পণ্যও বর্জন করতে হবে।

আল্লামা আব্দুর রব ইউসুফী বলেন, মুসলমানরা নবী (সা.) ইজ্জত রক্ষায় জীবন দিতে প্রস্তুত। মহানবী (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র কার্টুন প্রকাশের দায়ে ফ্রান্স সরকারকে মুসলিম উম্মাহ’র কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় ঢাকায় ফরাসি দূতাবাস বন্ধের জন্য রাজপথে নামতে বাধ্য হবো। মাওলানা জুনাইদ আল-হাবিব বলেন, আল্লামা আহমদ শফী (রহ.) ইন্তেকালে হেফাজতে ইসলাম মরে যায়নি। গত শুক্রবার সারাদেশের মসজিদ থেকে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে কয়েক লাখ মিছিল বের হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনুন। তিনি বলেন, মসজিদের শহর ঢাকাকে ভাস্কার্যের নামে মূর্তির শহর বানাতে দেয়া হবে না। ঢাকা-মাওয়া সড়কে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি নির্মাণ করা হলে তা’ ভেঙ্গে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেয়া হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। মাওলানা নূরুল ইসলাম জেহাদী বলেন, বাংলাদেশ মুসলমানের দেশ, পীর বুজুর্গের দেশ। নবীর ইজ্জত রক্ষায় সরকার এখনো ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব কেন আনেনি তা’ আমাদের জানা নেই। তিনি বলেন, অবিলম্বে জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনুন এবং দেশটির সাথে কূটনৈতিক সর্ম্পক ছিন্ন করুন। তিনি বলেন, নবীর দুশমন ফ্রান্স একদিন বিশ্বের মানচিত্র থেকে মুছে যাবে ইনশাআল্লাহ। বাহাদুরপুর পীর মাওলানা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, মহানবী (সা.) এর ইজ্জত রক্ষায় সংসদে দাঁড়িয়ে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করুন। বেফাক মহাসচিব মাওলানা মাফুজুল হক বলেন, নবী (সা.) এর ইজ্জত মুসলমানদের জীবনের চেয়ে অনেক বেশি মূল্য। ফ্রান্সের কুকর্মের দরুণ জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী এখনো নিন্দা প্রস্তাব আনেননি। এটা খুবই লজ্জাজনক। মাওলানা মামুনুল হক বলেন, সরকারের কানে এখনো পানি যায়নি। অবিলম্বে ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিন এবং সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করে নবী (সা.) প্রতি সম্মান জানান। শাইখুল হাদিস মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, গতকালের ফরাসি দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি উত্তাল সমূদ্রে পরিণত হয়েছে। মহানবী (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের প্রতিবাদে সরকারকে অবিলম্বে নিন্দা এবং পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিতে হবে।

 

এ জাতীয় আরো সংবাদ

মাত্র ৯৯ দিনে কুরআনের হাফেজ হলো ৮ বছরের ইয়াছিন আব্দুল্লাহ

আলাউদ্দিন

নিখোঁজের ১৪ দিন পরও সন্ধান মেলেনি মুফতি মিজানুরের

আনসারুল হক

বাণিজ্য ক্ষেত্রে সুবিধা বাড়াতে ইইউর প্রতি আহ্বান অর্থমন্ত্রীর

নূর নিউজ