চাকরির জন্য গাজিপুর থেকে আড়ং হেডঅফিস তেজগাঁও আসেন অনার্স সেকেন্ড ইয়ারের শিক্ষার্থী ইমরান হুসাইন ইমন। ইন্টারভিউ-এ পাশ করেও মুখের সুন্নতি দাড়ি আড়ংয়ে জবের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তারা পরিষ্কার বলে দেন, ‘আড়ংয়ের রুলস হচ্ছে, সেইলম্যান হিসেবে জব করতে হলে আপনাকে ক্লিনসেভ করতে হবে৷
কিন্তু সুন্নতি দাড়ি ক্লিনসেভ করে জব করার প্রতি মোটেও আগ্রহ নেই ইমরান হুসাইন ইমনের। অতঃপর তিনি বের হয়ে পড়েন অফিস থেকে। বাড়ি ফেরার আগে তেজগাঁও অফিসের ঠিক অপজিটে রাস্তায় দাড়িয়ে একটি ভিডিও বার্তায় এমন আচরণ আর নিয়মের জন্য হতাশা প্রকাশ করেন!
রাসূল (সা.) এর গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত দাড়ি রাখার কারণে আড়ং-এর চাকরি থেকে বঞ্চিত হওয়া ইমরানকে চাকরি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বরুণার পীর, শায়খুল হাদিস আল্লামা মুফতি রশিদুর রহমান ফারুক-এর বড় পুত্র, শেখবাড়ি জামিয়ার ভাইস প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ আহমদ আফজল বর্ণভী।
তরুণ আলেম শেখ আহমদ আফজল বলেন, ‘দাড়ি রাখার অপরাধে একটা মানুষের জীবনযাত্রা থেমে যাবে তা কখনো হতে পারে না৷ ইমরানকে ঢাকার আড়ংয়ের সমপরিমাণ বেতনে আমরা চাকরি দিতে প্রস্তুত৷ তিনি চাইলে শেখবাড়ী জামিয়ায় আসতে পারেন৷ আমরা যথাযথ মূল্যায়নের চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ!’
এ সময় চাকরির বিষয়ে এই নম্বরে (01719-190216) যোগাযোগ করার জন্য তিনি অনুরোধ করেছেন।
এর আগে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইমরানের একটি ভিডিও প্রচারিত হলে দেশজুড়ে হৈচৈ শুরু হয়। আড়ং বয়কটের ডাক দেন অনেকেই। আড়ংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ইসলাম বিদ্বেষী কাজের জন্য ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত বয়কট চালিয়ে যাওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।