দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ, বিকল্প বাহনে ঝুঁকি নিয়ে ঈদযাত্রা

নূর নিউজ: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঈদে বাড়ি ফেরা নিরুৎসাহিত করতে দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ রেখেছে সরকার। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। করোনা সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি থাকার পরও ঈদুল ফিতরের ছুটির আগেই রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন নগরবাসী। মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেলে করে মানুষ যাচ্ছে গ্রামের বাড়িতে। বিকল্প বাহনে গাদাগাদি করে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ঢাকা ছাড়ছেন তারা। কয়েকদিন ধরেই দুই ফেরি রুটে উপচেপড়া ভিড়।

এমন অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে দূরপাল্লার সব গণপরিবহন চালুর দাবি জানিয়েছে পরিবহন মালিক শ্রমিক সমিতি। গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সব ধরনের গণপরিবহন চালু করে ৫ দফা দাবি পেশ করে মালিক শ্রমিক সংগঠনগুলো। অন্যথায় ঈদের নামাজ শেষে সারা দেশের মালিক-শ্রমিকরা নিজ নিজ এলাকার বাস ও ট্রাক টার্মিনালে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। এর পর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা, মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশচন্দ্র ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান।

এক প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান বলেন, লকডাউন সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞরা মাঠের সেন্টিমেন্ট বোঝেন না। শ্রমিকের সেন্টিমেন্ট বোঝেন না। এ জন্যই ফেরিতে মানুষ গাদাগাদি করে যাচ্ছে। শ্রমিকরা না খেয়ে থাকছে। তিনি আরও বলেন, আমরা এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। সরকার যেসব বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েছে, তাদের নয় বরং আমাদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

দূরপাল্লার বাস চালুর বিষয়ে সরকার কোনো আশ্বাস দিচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি সাক্ষাৎ দেননি। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বলেছেন। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি, কিন্তু এখনো কোনো ফল পাইনি। কয়েক দিন ধরে ফেরি ও দূরপাল্লার কিছু বাস কীভাবে চলছে জানতে চাইলে শাজাহান খান বলেন, এটা প্রশাসনের দায়িত্ব। আমরা কী করব?

গতকাল সকালে সায়েদাবাদ জনপথ মোড়ে গিয়ে দেখা যায় মানুষ ঢাকার বাইরে রওনা হচ্ছেন। কেউ কেউ মোটরসাইকেলে ভাড়ায় চলে যাচ্ছেন কুমিল্লা, নরসিংদী, চাঁদপুরে। কিছু ৮ সিটের মাইক্রোবাসে ১৬ জন যাত্রী টানা হচ্ছে। ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে অনেক বেশি।কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি থাকছে উপেক্ষিত।

গাবতলী পেরিয়ে আমিনবাজার ও সালেপুর থেকে শুরু হয়েছে ঘরমুখো মানুষের ঢল আর তীব্র গাড়ির জটলা। কেউ কেউ দলবেঁধে যাচ্ছেন মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে। কেউ কেউ যাচ্ছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ভ্যানগাড়িতে করে। এভাবে ভেঙে ভেঙে যাত্রা করেছেন অনেকে। আবার যাত্রীদের মধ্যে দেখা যায় কেউ মাস্ক পরেছেন, কেউ পরছেন না। মাস্ক পরতে বললে কেউ কেউ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গাবতলী থেকে আরিচা ঘাট পর্যন্ত জনপ্রতি ৪০০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আরোহীরা।

 

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কিছুটা স্বস্তির জন্য আইএমএফের ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী

নূর নিউজ

তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে

নূর নিউজ

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দেবে জাতিসংঘ

নূর নিউজ