বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রথমবারের মতো করোনার টিকার আওতায় আনার কর্মসূচী শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচীতে প্রথম টিকা গ্রহণ করলেন ৬৪ বছর বয়সের রোহিঙ্গা শরণার্থী মোহাম্মদ সফিকে।
উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার বসবাস। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আজ থেকে আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত মোট তিনদিন ৪৮ হাজার রোহিঙ্গাকে টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন। করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতে প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে ক্যাম্পে। এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় তিন হাজার, মারা গেছেন ২৯ জন।
কক্সবাজারে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রথমে ৪৮ হাজার রোহিঙ্গাকে সিনোফার্মের প্রথম ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হবে। টিকা দেয়ার জন্য ক্যাম্পে ৫৬টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। কেন্দ্রেগুলোতে ৫৮টি টিকা প্রয়োগকারী দল এবং প্রতিটি দলে দুজন টিকাদানকারী বিপরীতে থাকবেন তিনজন স্বেচ্ছাসেবক।
আরো জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফ্যামিলি কাউন্টিং নম্বর’ বা পরিবার পরিচিতি নম্বর দেয়া হয়েছে। এই নম্বরের মাধ্যমেই তাদের টিকা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের টিকা প্রদানকে স্বাগত জানিয়েছে কক্সবাজারের সচেতন মহল।