করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাংলাদেশের চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) ইউনিসেফ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক এই সংস্থা জানায়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ আছে। যা করোনার কারণে স্কুল বন্ধের ক্ষেত্রে বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম।
ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারির পুরোটা সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চতর শিক্ষার স্তর পর্যন্ত বাংলাদেশে চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, শিশুরা যত বেশি সময় ধরে স্কুলের বাইরে থাকবে, সহিংসতা, শিশুশ্রম ও বাল্যবিয়ের ঝুঁকি ততই বাড়বে। ফলে তাদের স্কুলে ফিরে আসার সম্ভাবনা কমে যাবে।
দেশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। আর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয় ওই বছরের ১৭ মার্চ। পরে সরকার করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে দফায় দফায় তা বাড়িয়ে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি টোমো হোযুমি বলেন, করোনার কারণে স্কুলে যেতে না পারায় শিশুদের শিক্ষা গ্রহণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে করে শিশুদের কেবল পড়াশোনার ক্ষেত্রে নয়, একইসঙ্গে তাদের স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রান্তিক শিশুরা।