সংসদে টিকা কেনার খরচ জানাতে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্যমন্ত্রী

টিকা কিনতে কত টাকা ব্যয় হয়েছে তা জাতীয় সংসদে জানাতে চাননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেছেন, ‘নন-ক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট’–এর মাধ্যমে টিকা কেনায় সংসদে অর্থ খরচের হিসাব প্রকাশ করা সমীচীন হবে না। সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে সততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে টিকা কেনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ জানতে চান, করোনাভাইরাসের কত টিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। আর সেজন্য কত টাকা খরচ হয়েছে। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

 

সরকারি দলের সাংসদ আবুল কালাম আজাদও টিকা কিনতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা জানতে চান। তার প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীন, ভারত ও কোভ্যাক্স থেকে সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে সততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে টিকা কেনা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, সিসিজিপি ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে টিকা কেনা হয়েছে। ‘নন-ক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট’–এর মাধ্যমে টিকা কেনার কারণে সংসদে খরচের হিসাব প্রকাশ করা সমীচীন হবে না।

 

গত ৯ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে করোনা চিকিৎসার ব্যয় জানানো হয়। ওই বিজ্ঞাপনে বলা হয়, ১ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার ডোজ টিকা কেনা হয়েছে (ওই সময় পর্যন্ত)। প্রতি ডোজ ৩ হাজার টাকা হিসাবে মোট ৩ হাজার ৪৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

 

সরকারি দলের সাংসদ আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণের জন্য মোট ২৯ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডোজ টিকার সংস্থান করা হয়েছে। এ পর্যন্ত (১৩ নভেম্বর) ৮ কোটি ৪১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৪ ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ কোটি ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৮৬৪ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৩ কোটি ২৮ লাখ ৫ হাজার ১৯০ জনকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের মিথ্যাচারিতা থেকে এখনো মুসলমানরা স্বাধীন হতে পারি নি

নূর নিউজ

বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণে যাচ্ছে হেফাজত

নূর নিউজ

আপনি নিজের আত্মাকে বিক্রি করে দিয়েছেন: প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে রিজভী

আলাউদ্দিন