বাংলাদেশের সঙ্গে থাইল্যান্ডের ‘সড়কপথ হচ্ছে’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সড়কপথে থাইল্যান্ডকে যুক্ত করার চেষ্টা চলছে। সিলেটের তামাবিল থেকে ভারত-মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ডে যাবে সড়ক যোগাযোগ। এতে ভারত রাজি হয়েছে। অন্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে।

বুধবার বিকাল ৩টায় স্থানীয় রেজিস্ট্রারি মাঠে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উদ্যোগটি বাস্তবায়ন হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এটি হাব হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

এদিকে সিসিকের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বিএনপিদলীয় হওয়ায় শুরু থেকেই এই আয়োজনে যোগদান না করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়েছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগ। সব জল্পনা-কল্পনা ভেঙে অবশেষে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরীর বিভিন্ন সময় আওয়ামীবিরোধী বক্তব্য প্রদানের অজুহাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা ‘বয়কট’ করলেও যোগ দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন- সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতি ও সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি তাহমিন আহমেদসহ অন্যান্যরা।

স্বাগত বক্তব্যে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট নগরীর উন্নয়নে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের প্রচেষ্টা তুলে ধরেন। মেয়র বলেন, সাড়ে ২৬ বর্গকিলোমিটারের সিটি করপোরেশন এখন প্রায় তিনগুণ আয়তন বেড়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রচেষ্টায়।

মেয়র উল্লেখ করেন, সিলেট–ঢাকা ৬ লেনসহ নগরীতে যে উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে, তাতে অনেক অবদান রয়েছে মুহিত ও মোমেনের। একটি মডেল নগরী গড়তে দল-মত নির্বিশেষে সবার সহযোগিতাও চান আরিফুল হক চৌধুরী।

ড. একে আবদুল মোমেন শুরুতেই সিলেট সিটি করপোরেশনকে এই আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের প্রতি খুব সদয়। সিলেটের উন্নয়নে বরাদ্দ দিতে তিনি দ্বিধা করেন না। না চাইতেও প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সিলেট অনেক কিছু পাচ্ছে। সিলেট নগরীর উন্নয়নে ১২২৮ কোটি টাকা দিয়েছে সরকার। সিলেটের যোগাযোগ ব্যবস্থা-রাস্তাঘাট উন্নত হচ্ছে। এয়ারপোর্ট অত্যাধুনিক হচ্ছে। স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। শিক্ষা খাতে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৃহত্তর সিলেটের প্রত্যেকটি কলেজে বিশেষ অনুদান দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে মডেল সিলেট গড়ে তোলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, টাকা শুধু পাইলেই হয় না। টাকা কাজে লাগাতে হয়। টাকা আগেও দিয়েছিলেন আমাদের অর্থমন্ত্রী। কিন্তু ফেরত গেছে। বর্তমান সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলররা টাকা কাজে লাগাচ্ছেন। যার ফলে সিলেটের উন্নয়ন হচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই সিলেট নগরী আপনার-আমার সবার। কে কোন মতের-দলের সেটা দেখার বিষয় নয়। আমরা সবাই সিলেটের, এটাই মূল বিষয়। এখানের ছেলে আমি, আমাদের সবার হৃদয়ে সিলেট। সিটি মেয়র আরিফুল হকের সমালোচনাকারীদের একহাত নিয়েছেন ড. মোমেন। তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে কেউ কেউ বলেন যে, মেয়র অন্য দলের। সুতরাং আপনি উনার অনেক প্রস্তাব গ্রহণ করবেন না। আমি বলি, সিলেট তো আমারও। মেয়র সাহেবেরও (আরিফের)। সুতরাং বৃহত্তর সিলেটের মঙ্গলের জন্য সব করতে হবে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

শেখ হাসিনা আছেন বলেই দেশে শান্তি আছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

নূর নিউজ

লেখাপড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ দিতে নিষেধ প্রধানমন্ত্রীর

নূর নিউজ

বিএনপিতে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

আনসারুল হক