হামলার পর ওয়াইসি বললেন, আমি বাঁচতে চাই, কথা বলতে চাই

অলইন্ডিয়া মজলিম-ই-ইত্তেহাদ-উল মুসলিমিন’ বা ‘মিম’ দলের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা প্রহরা প্রত্যাখান করেছেন।

গতকাল দিল্লির সন্নিকটে তার গাড়ি লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা গুলি চালায়। এতে তার গাড়িতে দুটি গর্তের সৃষ্টি হয়।

শুক্রবার সংসদে হায়দ্রাবাদের সংসদ সদস্য ওয়াইসি বলেন, আমি জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা চাই না। আমি সব সাধারণ মানুষের মতো ‘এ’ ক্যাটাগরির নাগরিক থাকতে চাই। যারা আমার ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের ওপর কেন বিধিহীন কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) মামলা করা হয় না?

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, মোদি সরকার সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপকহারে ইউএপিএ আইন প্রয়োগ করেছে বিশেষ করে মুসলিমদের ওপর ।

সংসদে ওয়াইসি আরও বলেন, আমি বাঁচতে চাই, আমি কথা বলতে চাই। আমার জীবন তখনই নিরাপদ থাকবে যখন গরিব মানুষরা নিরাপদে থাকবে। যারা আমার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে আমি তাদের ভয় পাই না।

ওয়াইসি বলেন, আমি ভয় পাচ্ছি না বা নিরাপত্তা নিতে যাচ্ছি না। আমি আমার নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাব। যদি কোনো মাই কে লালের ক্ষমতা থাকে, আমাকে মেরে দেখাও।

এদিকে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির গাড়িতে গুলি করার অভিযোগ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের একজন শচিন। তিনি নইদা এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে পূর্বে একটি হত্যা চেষ্টার মামলা রয়েছে। অভিযুক্ত শচিন দাবি করেছেন, তিনি আইন নিয়ে পড়ালেখা করেছেন। পুলিশ তার দাবির সত্যতা যাচাই করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শচিন নিজেকে ডানপন্থি হিন্দু দলের সদস্য দাবি করেন।

গ্রেফতারকৃত আরেকজন শাহারানপুরের কৃষক সুবহাম। পূর্বে তার কোনো অপরাধের রেকর্ড পাওয়া যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার দুই ব্যক্তি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ওয়াইসি এবং তার ভাই আকবরউদ্দিন ওয়াইসির বক্তব্যে তারা কষ্ট পেয়েছেন। একটি নির্দিষ্ট ধর্মের বিরুদ্ধে দেওয়া বক্তব্যে তারা কষ্ট পেয়েছেন। পুলিশের অতিরিক্ত পরিচালক প্রশান্ত কুমার বলেন, গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হবে।

এদিকে পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে দেশীয় পিস্তল উদ্ধার করেছে। তারা যার কাছ থেকে পিস্তল কিনেছিলেন পুলিশ তাদের খুঁজছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

মুক্তি পেলেন গাদ্দাফির ছেলে সাদি গাদ্দাফি

আনসারুল হক

পৃথিবীতে ফিরে এলেন সৌদির নারী নভোচারী

নূর নিউজ

যখন ভয় পাই, তখন আমি আল্লাহর নাম নেই : মুসকান খান

আনসারুল হক