বিয়ের মাধ্যমেই কেবলমাত্র পবিত্র ভালোবাসার স্বাদ আস্বাদন করা যায়

১৪ ফেব্রুয়ারি তথাকথিত বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে যুবক-যুবতীদের অধিকহারে বিয়ের আয়োজন করে প্রকৃত ভালবাসার সুযোগ করে দেয়ার আহবান জানিয়েছেন কাতারস্থ আল নূর কালচারাল সেন্টার।

আজ (১৪ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আল নূর কালচারাল সেন্টারের সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক প্রকৌশলী আবু রায়হান, সহযোগী পরিচালক মতিউর রহমান, সহকারী পরিচালক মাওলানা জসিমুদ্দিন মাশরুফ এ আহবান জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ভালোবাসা আল্লাহর মহান দান। ভালোবাসা একটি পবিত্র শব্দ ও পবিত্র অনূভূতি। পরস্পরের মধ্যে প্রীতি স্থাপনের জন্য মহান আল্লাহ প্রতিটি প্রাণীর মধ্যেই ভালোবাসা তৈরি করে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সম্পর্ক এবং আনুষাঙ্গিক বিষয় অত্যাবশ্যকীয়। তবে ভালোবাসার জন্য নির্দিষ্ট দিবস-রজনীর প্রয়োজন নেই।

১৪ ফেব্রুয়ারি তথাকথিত বিশ্ব ভালোবাসা দিবস এক নষ্ট সংস্কৃতিক আগ্রাসন। ঈমান ও চরিত্র হরণের মহড়া । এদিন অধিকহারে বিয়ের আয়োজন করে যুবক-যুবতীদের প্রকৃত ভালবাসার সুযোগ অবারিত করে দেওয়া উচিৎ।

তারা বলেন, অবৈধ প্রেমের ভাইরাস প্রতিরোধে তরুণ-তরুণীদের দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করা অভিভাবকদের ঈমানি দায়িত্ব। নতুবা তারা আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবেন। ইসলামী বিধান ও বাঙ্গালী সংস্কৃতি এমন কি ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’র মূল উদ্দেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক ভালবাসা দিবসের বিরুদ্ধে জোরদার সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।

বিবৃতিতে সংস্কৃতি বিভাগ নেতৃবৃন্দ আরও বলেন ইতিহাসের বিভিন্ন সূত্র মতে, ২৬৯ খ্রীষ্টাব্দে রোমের সম্রাট ছিলেন কর্ডিয়াস-২। সেই সময় সম্রাট যুবকদের বিয়ে করা নিষিদ্ধ করায় ভ্যালেন্টাইন নামে একজন খ্রীষ্টান সাধু তরুণ প্রেমিকদের গোপনে পরিণয়-মন্ত্রে দীক্ষা দিতেন। এ অপরাধে সম্রাট কর্ডিয়াস ২৭০ খ্রীষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি সাধু ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেন। মূলতঃ তার স্মরণেই দিনটির নামকরণ করা হয় ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’- যা আজকের ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’। ‘বিয়ের মাধ্যমে পবিত্র ভালবাসার চর্চা’- এটাই ছিল ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’র মূল আহবান। অথচ আজ তা বিয়ে বহির্ভূত অবৈধ ভালবাসা ও ব্যভিচার দিবসে পরিণত হয়েছে।

তারা বলেন, ড.আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর বলেছেন, ভ্যালেন্টাইস ডে পালন করা মানে খ্রিস্টধর্ম পালন করা। এই দিবস কোনো মুসলমান পালন করতে পারে না। খ্রিস্টান ধর্মীয় উৎসব “সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস ডে” কে প্রতারণামূলকভাবে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস অনুবাদ করে, ধর্মীয় দিবসকে সেকুলার রূপ দিয়ে আমাদের সমাজে প্রচলন করা হচ্ছে। এটা নিঃসন্দেহে প্রতারণা। ঈমান বিধ্বংসী এসব প্রতারণা থেকে মুসলমানদের বেঁচে থাকতে হবে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

ধর্মভিত্তিক দলগুলো কেন চরমোনাইয়ের সঙ্গে জোট করতে রাজি নয়?

নূর নিউজ

কাতারে আওয়ামী লীগের মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

নূর নিউজ

যুক্তরাষ্ট্রে ইলিশের নামে ‘সার্ডিন’ কিনে প্রতারিত প্রবাসীরা

নূর নিউজ