ভারতের কর্নাটকের শিক্ষাক্ষেত্রে হিজাব নিষিদ্ধ নিয়ে তোলপাড়। মামলা গড়িয়েছে শীর্ষ আদালতে। এই প্রেক্ষিতে মধ্যপ্রদেশের একটি কলেজে নিষিদ্ধ করা হয়েছে হিজাব।
মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের দাতিয়া জেলার এক সরকারি কলেজে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহিলা মোর্চা ‘দুর্গা বাহিনী’র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
‘দুর্গা বাহিনী’র দাবি কলেজ ক্যাম্পাসে মুসলিম ছাত্রীরা হিজাব পরে আসতে পারবেন না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হল নতুন বিতর্ক।
কর্নাটক হাই কোর্টের অন্তর্বর্তিকালীন নির্দেশে বলা হয়েছে, সিদ্ধান্ত না নেয়া পর্যন্ত আপাতত সে রাজ্যের পড়ুয়ারা হিজাব পরে স্কুল বা কলেজে আসতে পারবেন না। এ নিয়ে মঙ্গলবারও একাধিক মামলার শুনানি চলে আদালতে। তার মধ্যেই সামনে এল মধ্যপ্রদেশের ঘটনা।
সোমবার দাতিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ডিআর রাহুল জানান, কোনো সম্প্রদায়ের পরিচ্ছদ বলে পরিচিত এমন কোনো পোশাক পরে আসতে বারণ করা হয়েছে পড়ুয়াদের। সেটা হিজাব হতে পারে কিংবা অন্য কোনো সম্প্রদায়ের পোশাক-পরিচ্ছদ।
জানা যায়, সোমবার দুই কলেজছাত্রী হিজাব পরে ক্লাসে ঢোকার পর আন্দোলন শুরু করে ‘দুর্গা বাহিনী’। ঘেরাও হন কলেজের অধ্যক্ষ। তাদের দাবি, কলেজ ক্যাম্পাসে হিজাব নিষিদ্ধ করতে হবে। তার পরেই এই কলেজ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত নেন।
অধ্যক্ষের দাবি, কলেজের মধ্যে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগে কলেজে কেউ হিজাব পরে আসতেন না। কিন্তু কর্নাটকে হিজাব-বিতর্ক শুরু হওয়ার পর পরই কয়েকজন ছাত্রী হিজাব পরে ক্লাসে আসতে শুরু করেন।
অন্য দিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রের দাবি, মধ্যপ্রদেশে হিজাব নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। দাতিয়া কলেজের ঘটনা শুনে জেলাশাসককে কার্যকরি পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে সাতনার একটি কলেজে হিজাব পরে আসার ‘অপরাধে’ এক ছাত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি দিতে বলেন অধ্যক্ষ।
সূত্র : আনন্দবাজার