রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে তৃতীয় দফা বৈঠক কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়েছে। যদিও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি থেকে পালানোর চেষ্টাকারী বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ করিডোর দেওয়ার ক্ষেত্রে সামান্য অগ্রগতি হয়েছে।
সোমবার (৭ মার্চ) বেলারুশে দুই দেশের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক বলেন, মানবিক করিডোরের সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে কিছুটা ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। সংঘাত অবসানের উপায় বের করতে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
এর আগে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মানবিক করিডোর তৈরির প্রচেষ্টা অব্যাহত গোলাগুলির কারণে ভেস্তে যায়।
বৈঠক শেষে রাশিয়ান প্রতিনিধি দলের শীর্ষ আলোচক ভ্লাদিমির মেডিনস্কি বলেন, ইউক্রেনের মানবিক করিডোর মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে বলে তিনি আশা করছেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক সমঝোতার বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। কিন্তু তিনি পরবর্তী ধাপের বৈঠক আরও ফলপ্রসূ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
মেডিনস্কি বলেন, বৈঠক থেকে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। কিন্তু আমরা আশাবাদি, পরেরবার আরও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হব। আলোচনা চলবে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফার বৈঠক এবং ৩ মার্চ দ্বিতীয় দফার বৈঠক বেলারুশে অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এ ছাড়া দেশটির দুই হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং রাশিয়ার ১১ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
অন্যদিকে রাশিয়া দাবি করেছে, যুদ্ধে তাদের ৪৯৮ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের ২ হাজার ৮৭০ জনের বেশি ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ হামলায় এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ৩৬৪ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। যদিও সংস্থাটি বলেছে, এটি নিশ্চিত যে প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা হয়তো অনেক বেশি।