ইউক্রেনের জীবাণু অস্ত্রকে কেন্দ্র করে আমেরিকা এবং রাশিয়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পরস্পরকে দোষারোপ করেছে। রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেনে যে জীবাণু অস্ত্রের গবেষণাকেন্দ্রের সন্ধান পাওয়া গেছে তাতে আমেরিকা অর্থায়ন করেছে। তবে ওয়াশিংটন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
জাতিসংঘে রাশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া গতকাল (শুক্রবার) নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বলেছেন, ইউক্রেন সরকার তার দেশের জনগণকে জীবাণু অস্ত্র পরীক্ষার জন্য গিনিপিগ বানিয়েছে। তিনি বলেন, পাখি ও ইঁদুর ব্যবহার করে কীভাবে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়া যায়, ইউক্রেনের বিভিন্ন গবেষণাগারে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হতো।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউক্রেনে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের রোগ-ব্যাধির প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। ইউরোপের এই দেশটি জীবাণু অস্ত্রের গবেষণার মাধ্যমে মারাত্মক বিপদ সৃষ্টি করেছে বলেও তিনি সতর্ক করেন।
লিন্ডা থমাস
নেবেনজিয়া বলেন, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আমেরিকা যৌথভাবে এই ঝুঁকি তৈরি করেছে। যদি এখান থেকে বিপজ্জজনক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে তাহলে তা পুরো ইউরোপকে সংক্রমিত করবে।
এদিকে, ইউক্রেনে জীবাণু অস্ত্রের গবেষণার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড। তিনি দাবি করেন, ইউক্রেনে যে জীবাণু গবেষণাগার রয়েছে তার সাথে রাসায়নিক অস্ত্রের কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি আরো দাবি করেন, ইউক্রেনে রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে, এজন্য তারা আমেরিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। লিন্ডা থমাস বলেন, “আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এ কারণে যে, নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া এই ধরনের বৈঠক আহ্বান করে তারাই মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্রের হামলা চালাতে পারে।” লিন্ডা থমাস দাবি করেন, রাশিয়া অন্য দেশে রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে তার ইতিহাস রয়েছে