আজ শনিবার (২৬ মার্চ ২০২২ইং) সকাল নয়টায় গুলিস্তানস্থ ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে জামে মসজিদে ইমামদের বৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ আইম্মাহ পরিষদের উদ্যোগে ৫১তম মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দু’আ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আল্লামা মুহিউদ্দীন রাব্বানী। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মোৎসর্গিত শহীদ, বীরঙ্গনা নারী, যুদ্ধাহত মুক্তিসংগ্রামী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে বলেন, যাদের জন্য আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হতে পেরেছি তাঁরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তিনি শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। পাশাপাশি তিনি স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার জন্য জনসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান, সবার জন্য শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের নিশ্চয়তা দেয়া বিশেষ করে শিক্ষাখাতে সরকারের বিশেষ মনযোগ আকর্ষণ করেন। তিনি একটি সুখী, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে দেশপ্রেমিক, সুনাগরিক, লেখক ও গবেষক হিসাবে গড়ে তোলার জন্য আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, ইমামরা জাতীর রাহবার, পথপ্রদর্শক। তাই দেশ-জাতী ও দেশের সার্বভৌমত্ব এবং মুসলমানদের ঈমান আক্বিদা রক্ষায় ইমামদেরকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
উক্ত সভায় আরো আলোচনা করেন মাওলানা সাঈদুর রহমান সাঈদ, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী, মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা যুবায়ের, মুফতী উমর ফারুক, মাওলানা আশরাফ মাসরূর, মুফতি ইসহাক মাহমুদ, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মাওলানা আশিক মাহমুদ, মুফতী আদনান মাসঊদ, মুফতী শুয়াইব, মাওলানা মোস্তফা কামাল, মুফতী নূরুল ইসলাম, মাওলানা জাহিদুল ইসলাম, মুফতী আব্দুল্লাহ মাহমুদ, মাওলানা খালেদ বিন নূর, মুফতী মাহবুব গুলজার, মাওলানা আব্দুল বাসেত শামীম, মুফতী মাহবুবুল্লাহ, মুফতী আম্মার মানসুর, মাওলানা তাহমিদ শরীফ, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, মাওলানা নোমান, মাওলানা মাসুম বিল্লাহ, মাওলানা জুনায়েদ আহমদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আসন্ন মাহে রমজান উপলক্ষে সারা দেশব্যাপী মসজিদ ও মাদরাসা কেন্দ্রিক সাধারণ মানুষের জন্য “তাসহীহুল কুরআন” শিরোনামের এক কুরআন শিক্ষা কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। কুরআনের মাসে এই মহতি উদ্যোগ বাস্তবায়নে দেশের ইমাম ও আলেম উলামাদের প্রতি সংগঠনের পক্ষ থেকে উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।
উক্ত কার্যক্রম সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য মাওলানা যুবায়ের, মুফতী উমর ফারুক, মুফতী ইসহাক মাহমুদ এবং মুফতী নুরুল ইসলামকে সদস্য করে একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়।
পাশাপাশি আসন্ন রমজানুল মোবারক শেষে গরিব অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
পরিশেষে এ দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামের মধ্য হতে যারা ইন্তেকাল করেছেন, তাঁদের এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে এক বিশেষ দু’আর মাধ্যমে সভার সমাপ্তি হয়।