ফজরের নামাজের পরপরই মুসলিমদের প্রথম কিবলাখ্যাত ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসায় হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এতে দেড় শ’রও বেশি মুসুল্লির হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। তীব্র এ হামলার পরও রমজানের দ্বিতীয় জুমা আদায়ে মুসুল্লিদের ঢল নামে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম এই মসজিদে।
গতকাল শুক্রবার অধিকৃত আল কুদসের (জেরুসালেম) পুরাতন শহরে অবস্থিত এই মসজিদে অন্তত ৬০ হাজার মুসুল্লি জুমার নামাজ আদায় করেছেন। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
আল কুদসের ইসলামিক ওয়াকফ বিভাগের মহাপরিচালক শায়খ আজ্জাম আল খতিব আনাদোলু এজেন্সিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জুমার নামাজে মুসল্লিদের এ সংখ্যা অনেক মনে হলেও পবিত্র রমজান মাস হিসেবে তা খুবই কম বলে জানান শায়খ আজ্জাম।
জানা যায়, রমজানের প্রথম শুক্রবার এখানে প্রায় ৮০ হাজার মুসুল্লি জুমার নামাজ আদায় করেন।
আনাদোলু এজেন্সি একটি সূত্রে জানায়, জুমার নামাজকে কেন্দ্র করে জেরুসালেম শহরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে ইসরাইল। শহরের প্রবেশপথ, মসজিদের আশপাশ ও অলিগলিতে পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
গাজা ও পশ্চিম তীরের ৫০ বছরের কম বয়সী মুসুল্লিদের মসজিদে নামাজ পড়তে আসতে বাধা দেয় ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া জুমাবার ভোরবেলা থেকেই ফিলিস্তিনিদের সাথে মসজিদ চত্বরে ইসরাইলি বাহিনীর সংঘর্ষ চলতে থাকে। এতে অন্তত ১৫৩ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি আহত হন।
ফিলিস্তিনি বন্দী বিষয়ক কর্তৃপক্ষ জানায়, হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনার পর চার শতাধিক ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে ইসরাইলি পুলিশ বাহিনী।
জেরুসালেম বিষয়ক মন্ত্রী ফাদি আল হাদমি এক বিবৃতিতে ইসরাইলি পুলিশের মসজিদে হামলার নিন্দা জানান। তিনি বলেছেন, এসব প্রতিক্রিয়ার জন্য তারাই সম্পূর্ণ দায়ী থাকবে।
এদিকে ইসরাইলি পুলিশ এক বিবৃতিতে সংঘর্ষে জড়িতদের ‘সহিংস দাঙ্গবাজ’ আখ্যায়িত করে জানায়, ‘এসব হামলার মূল লক্ষ্য ছিল নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষতি করা।’
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি