উজানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জের হাওরের নদ-নদীর পানি বেড়ে কৃষকের ফসল তলিয়ে যাচ্ছে।
রোববার (১৭ এপ্রিল) সকাল থেকেই পাহাড়ি ঢলে তাহিরপুর উপজেলার পাটলাই নদীর পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে।
ফলে তাহিরপুরের গুরমার হাওরের স্থায়ী বাঁধ উপচে পানি ঢুকছে। বিকেল পর্যন্ত পানি বাড়ার কারণে এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সুনামগঞ্জের বৃহত্তম শনির হাওর ও মাটিয়ান হাওরের ধান।
জানা যায়, রোববার সকাল ৯টার দিকে উজানের পানি বাড়তে থাকায় টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ার সংলগ্ন বর্ধিত গুরমার ২৭ নম্বর প্রকল্পের মাটি দেবে যায় ও স্থায়ী বাঁধ (আপর) উপচে পানি ঢুকতে শুরু করে। যার কারণে গুরমা হাওর অংশের খাউজ্যাউরি, নোয়াল, আইন্যা, কলমা, গলগলিয়া ও ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুণ্ডা এলাকার হাওরগুলোর ফসলেও প্রবেশ করেছে পানি।
গুরমার হাওরের স্থানীয় কৃষক মতিন বলেন, এটা নতুন কোনো বাঁধ নয়, এটা হাওরের পাড়ে পুরোনো স্থায়ী বাঁধ। ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি বেড়ে যাওয়ায় হাওরে ব্যাপক পানির চাপ সৃষ্টি হয়। আজ সকাল থেকে বাঁধ উপচে হাওরে পানি ঢুকতে শুরু করে।
সমাজকর্মী আহমদ কবীর বলেন, গুরমার হাওরে বাঁধ উপচে পানি ঢুকছে। আমরা সকাল থেকে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ও স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে বাঁশের চাটাই, বস্তা দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টায় কাজ করছি। গত ১০ দিন ধরে ইউএনও স্যারসহ আমরা বাঁধে দিনরাত পার করছি।
তাহিরপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান জুনাব আলী জানান, আমি বর্তমানে শনির হাওরে অবস্থান করছি পানির চাপে বাঁধগুলো দুর্বল হচ্ছে। এ হাওরের কুমাইরা খাল স্থায়ী বাঁধ (আপর) এর নিচ দিয়ে পানি ঢুকছে এছাড়াও ভগিয়ানীর পশ্চিমের বাঁধের অবস্থাও ভালো না।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবীর বাংলানিউজকে জানান, পাটলাই নদীর পানি ক্রমাগত বাড়তে থাকায় অবস্থা এখন খারাপের দিকে যাচ্ছে। ওয়াচ টাওয়ার সংলগ্ন বাঁধে মাটি ও বাঁশের চাটাই দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা চলছে।