সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত ইসলামিক বক্তা ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। আর এই মামলা নিয়ে বিনামূল্যে আদালতে কাজ করতে চান লেখক ও অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ঢাকার মুখ্যমহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম শাহিনুর রহমান বৃহস্পতিবার মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদনের জন্য তারিখ রাখেন। এই মামলার বাদী বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. এম এ সামাদ।
এরই প্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল। তিনি বলেন অনুমতি পেলে বিনা পারিশ্রমিকে মামলা লড়তে যান তিনি।
নুর নিউজের পাঠকদের জন্য তার ফেসবুক পোস্ট হুবহু তুলে ধরা হলো-
“ইসলামী জনপ্রিয় বক্তা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
“জেল জুলুম নির্যাতন
আলেমদের প্র্যাকটিকেল প্রশিক্ষণ”
একজন আইনজীবী হিসেবে সাইয়েদ আব্বাসী সাহেব এর অনুমতি পেলে বিনা খরচে মামলা মোকাবেলা করতে রাজি আমি। উনি আমার প্রিয় একজন বক্তা, জীবন্ত লাইব্রেরি।”
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টন থানায় সামাদ আব্বাসির বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন।
মামলার বিষয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এম এ সামাদ জানান, এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী প্রকাশ্য সন্ত্রাসী সংগঠন আল কায়েদার প্রচারণা চালাচ্ছেন। আল কায়েদা বিশ্বের একমাত্র দল যারা ইসলাম রক্ষার নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য কাজ করছে। মূলত বাংলাদেশে এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী প্রকাশ্যে আল কায়েদার কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
অভিজিত হত্যার দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মুক্তি দাবি জানিয়ে আব্বাসি প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ সামাদের। তিনি জানান, আব্বাসি বলছেন, অভিজিতকে যারা হত্যা করেছে তারা ‘মুজাহিদ’।
আব্বাসির এসব মন্তব্য দেশের সংবিধান ও আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন উল্লেখ করে সামাদ বলেন, ‘এতে মানুষ আইন হাতে তুলে নিতে উৎসাহিত হবে। এতে আমি আমার নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছি।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) এই নেতা জানান, সমাজের অগ্রসর জনগণকে হত্যার হুমকি, আল কায়েদার কার্যক্রম পরিচালনার তথ্য-প্রমাণ এবং ভিডিও ক্লিপসহ জমা দিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পল্টন থানায় আব্বাসির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন