উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দুদিন ধরে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। কুয়াশার কারণে শনিবার (১৫ অক্টোবর) ভোরে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে গেছে। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া কার্যালয় বলছে, শনিবার ভোর ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জানা গেছে, হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে পঞ্চগড়ে আগে শীতের আগমন ঘটে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। গত দুদিন ধরে ভোরের দিকে দেখা মিলছে কুয়াশা।
প্রতি বছর শীত উপভোগ করতে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটে পঞ্চগড়ে। শরতের শেষ ভাগে আশ্বিনের দমকা বৃষ্টি আর ঝোড়ো বাতাস নিয়ে আসে শীতের পরশ। ঠিক এ সময়ে উত্তরের পরিষ্কার নীল আকাশে দৃশ্যমান হয়ে ওঠে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা। একদিকে শীতের পরশ, আরেকদিকে হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা খালি চোখে কাছ থেকে দেখার সুযোগ।
কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে আসা আবির, তন্ময় ও বাশার বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাচ্ছে শুনে ছুটে এসেছি। কিন্তু আজ ঘন কুয়াশার কারণে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মেলেনি। ভোর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের পরশ পেলাম।
তেঁতুলিয়ায় ঘুরতে আসা রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোনসেফা পারভীন বলেন, কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে এসে আগাম শীত অনুভব করলাম। বেশ ভালো লাগছে।
কথা সাহিত্যিক হাফিজ উদ্দীন বলেন, দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড় হিমালয় কন্যা নামে পরিচিত। কদিন ধরে ভোরে কুয়াশা দেখতে পাচ্ছি। এ কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। বিশেষ করে শীত মানেই আলাদা আমেজ। আরেকটি উৎসবের শুরু।
আব্দুল, আছমাসহ কয়েকজন চা-শ্রমিক বলেন, আমরা ভোরে চা-পাতা কাটতে বাগানে আসি। আজ শীত বেশি মনে হচ্ছে। এখন পাতা কাটতে গেলে শিশির অনুভব করছি। ভোরে একটু ঠান্ডা লেগেছে।
শিপন ও তুষার নামে দুই মোটরসাইকেল আরোহী বলেন, সকাল সকাল মোটরসাইকেল চালানোর সময় শীত লাগছে। শীত আসছে বোঝা যাচ্ছে। কার্তিকের পর থেকেই নেমে যাবে শীত।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, হালকা কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার ভোর ৬ টায় ২১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। কুয়াশার কারণে শীত নামছে।