আমার চাচা একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। একজন আলেম তাকে বলেছেন, তিনি যে বিষয়ের ক্লাস নিয়ে থাকেন ঐ বিষয়ে ঐ ছাত্রদের প্রাইভেট পড়ানো জায়েয নেই। এতে ঘুষের আশঙ্কা রয়েছে। আমার জানার বিষয় হল, তিনি কি সঠিক বলেছেন? যদি তিনি ইনসাফ করতে পারেন তবুও কি হারাম হবে?
উত্তর:
আপনার চাচা যদি ক্লাসে যেভাবে পড়ানোর কথা সেভাবেই হক আদায় করে পড়িয়ে থাকেন, আর এরপরও ছাত্রের দুর্বলতার কারণে কিংবা সাবজেক্ট কঠিন হওয়ার কারণে বাস্তবেই প্রাইভেট পড়ানোর প্রয়োজন থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে তিনি নিজের ছাত্রদেরকেও প্রাইভেট পড়াতে পারবেন। তবে প্রাইভেট পড়ার কারণে ঐ ছাত্রকে ক্লাসে বা পরীক্ষায় অতিরিক্ত কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যাবে না। বরং পরীক্ষা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে যোগ্যতা ও সক্ষমতা অনুযায়ী অন্য ছাত্রদের মতোই আচরণ করতে হবে।
কিন্তু তিনি যদি ক্লাসেই যথাযথভাবে না পড়ানোর কারণে ছাত্রদের প্রাইভেট পড়ার প্রয়োজন হয় কিংবা প্রাইভেট পড়লে ক্লাসে বা পরীক্ষায় অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যায়, নাম্বার বেশি দেওয়া হয় বা প্রশ্নের পড়া আগেই দাগিয়ে দেওয়া হয় ইত্যাদি তবে প্রাইভেট পড়ানো জায়েয হবে না। এক্ষেত্রে প্রাইভেট পড়িয়ে টাকা নেওয়া ঘুষ হবে। তাই নিজের স্কুলের ছাত্রদেরকে প্রাইভেট না পড়ানোই অধিক নিরাপদ। বিশেষত যে ছাত্রদের ক্লাস তিনি নিজেই নিয়ে থাকেন তাদেরকে প্রাইভেট না পড়ানোই ভালো। পড়াতে চাইলে উপরোক্ত শর্তের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। আর সরকারীভাবে প্রাইভেট পড়ানো যদি নিষেধ থাকে তবে পড়ানো যাবে না।
-হাশিয়াতুত তহতাবীল আলাদ্দুর ৩/১৭৭; আলমওসূআতুল ফিকহিয়্যাহ, কুয়েত ২২/২২০; আহকামুল মালিল হারাম ৫২