পবিত্র, স্বচ্ছ জীবন যাপনে বিয়ে অপরিহার্য। বিয়ে নবীজি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ও ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান। বিয়ে এক ধরনের আনন্দ উৎসবের আমেজ তৈরি করে। পরিবারের শিশু-কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ সবাই এই আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেন।
বর্তমান সমাজে বিয়ের আনন্দঘন মুহুর্তে অনেক সময় বিপাকে পড়তে হয় কনের বাবাদের। আদরের মেয়েকে বিদায়ের মুহুর্তে যখন বিচ্ছেদের যন্ত্রণায় পুড়তে হয়, ঠিক সেই সময় মুখ বুজে সহ্য করতে হয় বরপক্ষের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া। অনেক মেয়ের বাবাকে আর্থিক সমস্যার মধ্য দিয়েও যেতে হয়। অথচ রাসুল সাল্লাল্লাহু বলেছেন, যে বিয়ে যত সহজ এবং স্বল্পব্যয়ী হয় সে বিয়ে ততই শান্তি ও বরকতময় হয়। -(মিশকাত, হাদিস নং ১৯৫৮)
সমাজের এই চিত্র নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন আলোচিত ইসলামিক ব্যক্তিত্ব শায়খ আহমাদুল্লাহ। বিয়ের সময় মেয়ের বাবার পক্ষ থেকে বিশাল খাওয়া দাওয়ার আয়োজন হলেও রাসুলের সুন্নত ওয়ালিমা অনেকটাই উপেক্ষিত থাকে।
এ নিয়ে নিজের ফেরিভাইড ফেসবুক পেইজে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘মেয়েটিকে তার পিতা-মাতা খাইয়ে-পরিয়ে বড় করে, শিক্ষা-দীক্ষা দিয়ে আপনার হাতে তুলে দিয়েছেন। সেই খুশিতে আপনার উচিত সবাইকে ওয়ালিমা খাওয়ানো।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেটা না করে অনেকে উল্টো দর কষাকষি করে কনের পিতার ওপর কয়েকশ লোক খাওয়ানোর বোঝা চাপিয়ে দেয়, এদের বরযাত্রী বলা হলেও আদতে তারা বদযাত্রী।’