পঞ্চগড়ের সহিংসতার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৬টি মামলায় ৮ হাজার মুসলমানকে আসামি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন ৮১ জন মুসলমান। মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেফতারকৃত সকলের দ্রুত মুক্তির দাবি জানান হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ও আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা শাহ মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া।
আজ (৬ মার্চ ২০২৩ ইং, সোমবার) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে নবী প্রেমিকদের এভাবে গ্রেফতার করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার হওয়া সব নবী প্রেমিকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে বলে বিবৃতিতে তিনি সরকারের নিকট জোর দাবি জানান। আসন্ন পবিত্র রমজান মাস। রহমত, বরকত ও নাজাতের মাস। এ মাস সামনে রেখে সাধারণ মুসলমানদের গণ গ্রেফতার ও হয়রানি কোনোভাবে সহ্য করা যায় না। দেশের তৌহিদি জনতা এসব সহ্য করবে না। নিরীহ নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামলা মামলা বন্ধ না হলে দেশের সর্বস্তরের জনগণ এই জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে। এভাবে চলতে থাকলে পরামর্শক্রমে আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবে বলে কঠিন হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন আল্লামা শাহ মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া।
এছাড়া পঞ্চগড়ের সর্বস্তরের মুসলমানদের ন্যায়সঙ্গগত প্রতিবাদী আন্দোলনে বিনা উস্কানিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় আরিফুজ্জামান নামের একজন মুসলিম যুবক শাহাদাত বরণ করার ঘটনায় আল্লমা ইয়াহইয়া তার রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং এই ঘটনায় আহত শতাধিক তৌহিদী জনতার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দু’আ করেন তিনি।
তিনি বিবৃতিতে আরো বলেন, দেশের শীর্ষ ওলামা হযরাত বারংবার দাবি জানানোর পরও কাদের আশ্রয়- প্রশ্রয়ে কাদিয়ানিরা মুসলমান দাবি এবং ইসলামের পরিভাষা ব্যবহার করে তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন । নিরীহ মুসলমানদের উপর এই হামলায় এবং হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে। নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঈমানী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কাউকে মামলা, গ্রেফতার ও হয়রানি করা যাবে না। ইতিমধ্যে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, অনতিবিলম্বে তাদের মুক্তি দিতে হবে এবং এ সংক্রান্ত সকল মামলা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।