বাংলাদেশে প্রায় সারাবছরই পাওয়া যায় কমলা ফল। ১০০ গ্রাম কমলায় আছে ভিটামিন বি ০.৮ মিলিগ্রাম, সি ৪৯ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৩ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩০০ মিলিগ্রাম ও ফসফরাস ২৩ মিলিগ্রাম। দৈনিক যতটুকু ভিটামিন ‘সি’ প্রয়োজন তার প্রায় সবটাই একটি কমলা থেকে পাওয়া যায়।
জেনে নিন কমলার কিছু পুষ্টিগুণ সম্পর্কে:
ত্বকের জন্য ভালো: কমলার ভিটামিন ত্বক নমীয়, কোমল ও সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। প্রসাধনী সামগ্রী তৈরি করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কমলা ব্যবহার করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: কমলা ‘ক্যালরি ফ্রি’ ফল হিসেবে পরিচিত, আর এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই কমলার পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করে।
ওষুধ শোষণ: শরীরে ওষুধ গ্রহণে সাহায্য করে কমলা। এই ফলের রস ওষুধের বায়োকেমিক্যাল ও সাইকলজিক্যাল প্রভাব শরীরে গ্রহণের মাধ্যমে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে।
দৃষ্টিশক্তি: চোখের জন্য ভিটামিন-এ দরকার। আর কমলায় বেশ ভালো পরিমাণে ভিটামিন-এ রয়েছে।
হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: কমলায় আছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান, যা হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধক: কমলায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিনের পাশাপাশি রয়েছে আলফা ও বেটা ক্যারোটিনের মতো ফ্ল্যাভনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ, যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
কমলার উচ্চমাত্রার পুষ্টিগুণ হচ্ছে ফ্ল্যাভনয়েড, যা ফুসফুস ও ক্যাভিটি ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর।
শর্করা নিয়ন্ত্রণ: কমলার খোসায় চিনির পরিমাণ নেই বললেই চলে, তাই এটা রক্তে শর্করার মাত্রায় প্রভাব ফেলে। ডায়াবেটিস ও মেটাবলিক সিন্ড্রম রোগীদের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হয়। তাই কমলার পুষ্টিগুণ ডায়াবেটিকদের জন্য উপকারী।