বয়সের ভারে ন্যুব্জ বেগম আয়েশা। জীবনের ৬৫টি বসন্ত পার করেছেন তিনি। খুব তীব্রভাবে অনুভব করছেন শূন্যতা- আমি তো কুরআনের হাফেজ নই। কিন্তু এ বয়সে কুরআন মুখস্থ করা কি সহজ কথা! তবুও মনে শান্তি পান না। এ শূন্যতা বারবার খোঁচা দেয় মনে। ফলে কুরআন মুখস্থের আগ্রহ প্রবল হয়ে ওঠে।
শেষশেষ ঠিক করেন, যেভাবেই হোক কুরআন মুখস্থ করবেন তিনি। আল্লাহর ওপর ভরসা করে শুরু করেন কুরআন হেফজ। এক মাস যায়। দুই মাস যায়। পার হয় বছর। তবুও শেষ হয় না কুরআন মুখস্থ। হতাশা পেয়ে বসে তাকে। তিনি থেমে যেতে চান। এ সময় তার স্বামী এগিয়ে আসেন। উৎসাহ দিয়ে পাশে দাঁড়ান। বলেন, ‘হাফেজ হতে হলে দমা যাবে না।’ তিনি আবার এগিয়ে চলেন। আবারো ক্লান্তি স্পর্শ করে তাকে। স্বামী তখনো অনুপ্রেরণা হয়ে আসেন। সামনে চলার গতি অব্যাহত রাখেন। এভাবেই বয়স আর হতাশাকে জয় করেন তিনি। সমাপ্ত করে কুরআনের হেফজ। ইতোমধ্যে গত হয়ে যায় পাঁচ পাঁচটি বছর।
জীবনের প্রারম্ভে কুরআন হেফজ করতে পারেননি আয়েশা বেগম। এ নিয়ে তার আক্ষেপের শেষ নেই। তিনি চান, পরের প্রজন্ম এ আফসোস না করুক। তারা জীবনের রাঙা প্রভাতেই কুরআন ধারণ করে নিক। সেজন্য তিনি নাতিদের ছোট থেকেই কুরআন শিক্ষা দিচ্ছেন। এভাবেই বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চান ৭০ বছর বয়সী আয়েশা।
সূত্র : আলজাজিরা মুবাশ্বির