মসজিদে প্রবেশের সময় যেসব কাজ সুন্নত

মসজিদ আল্লাহ তায়ালার ঘর এবং পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জায়গা। মসজিদের শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় জায়গা হলো মসজিদ আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট জায়গা হলো বাজার।’ -(মুসলিম, হাদিস : ১৪১৪)

সুন্নত পালনের গুরুত্ব

মসজিদে প্রবেশের সময় এর আদব রক্ষা করা এবং সুন্নতগুলোর প্রতি যত্নশীল হওয়া আবশ্যক। কারণ নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুন্নত অনুসরণকারীদের জান্নাতের অধিবাসী বলে সুসংবাদ দিয়েছেন।

এ সম্পর্কে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত। প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বানী-ইসরাইলী বাহাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছিল আর আমার উম্মাত বিভক্ত হবে তিয়াত্তর দলে, সকলেই জাহান্নামে যাবে, কিন্তু একটি মাত্র দল জান্নাতে যাবে। সাহাবাগণ রা. জিজ্ঞাসা করলেন, এই দল কারা? রসূলুলাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যারা আমার ও আমার সাহাবাদের সুন্নতের উপর কায়েম থাকবে। (তিরমিজি : হাদিস, ২৫৭৮।)

মসজিদে প্রবেশের সুন্নত

মসজিদে প্রবেশের সময় যেসব সুন্নতের অনুসরণ করা যেতে পারে তাহলো-

১. চোখ নিচু করে, আল্লাহ তায়ালার প্রতি ভয় রেখে প্রবেশ করা।
২. মসজিদে প্রবেশের আগে জুতা খুলে নিতে হবে। জুতা ভেতরে নিতে হলে আগেই ঝেড়ে পরিস্কার করে নিতে হবে।

৩. মসজিদে প্রবেশের সময় প্রথমে বাম পায়ের জুতা খুলতে হবে এরপর ডান পায়ের জুতা।
৪. মসজিদে প্রবেশের আগে বিসমিল্লাহ পড়তে হবে।

৫. মসজিদে প্রবেশের সময় আগে ডান পা দিতে হবে।
৬. দরুদ শরীফ, সালাম ও দোয়া পড়তে হবে। দরুদ শরীফ, সালাম ও দোয়া – এই তিনটিকে একসঙ্গে এভাবে পড়া যায়-

আরবি :

بِسْمِ اللهِ الصَّلّاةُ وَالسَّلاَمُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ اللَّهمَّ افتَحْ لِيْ أبوابَ رَحْمَتِك

বাংলা উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহ। আল্লাহুম্মাফ তাহলি আবওয়াবা রহমাতিক।’

অর্থ: ‘আল্লাহ তাআলার নামে শুরু করছি, দরুদ ও শান্তি বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসুলের প্রতি। হে আল্লাহ আপনার রহমতের দরজাগুলো আমার জন্য খুলে দিন। (ইবনে মাজাহ: ৬৩৩)

৭. মসজিদে প্রবেশের সময় এই দোয়াটিও চাইলে পড়া যায় –

আরবি :

رب أنزلني منزلا مباركا وأنت خير المنزلين

বাংলা উচ্চারণ : রব্বি আনঝিলনি মুনঝালামমুবারাকান ওয়া আনতা খয়রুল মুনঝিলীন।

অর্থ : হে আমার রব! আমাকে এমনভাবে অবতরণ করিয়ে নিন যা হবে কল্যাণকর; আর আপনিই শ্রেষ্ঠ অবতরণকারী। ( সুরা মুমিনুন, আয়াত, ২৯)

এ জাতীয় আরো সংবাদ

অন্ধকারে নামাজ পড়া যাবে?

নূর নিউজ

দাজ্জালের ফেতনা থেতে বাঁচতে জুমার দিন যে আমল করবেন

নূর নিউজ

‘ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠায় যুবকদের অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে’

নূর নিউজ