পেটে গ্যাস জমা নিয়ে সমস্যায় পড়েননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এটি বেশ পরিচিত একটি সমস্যা। খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম হলে, অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। সচেতন থাকার পরেও অনেক সময় পেটে গ্যাস জমতে পারে। আর এই অস্বস্তিদায়ক সমস্যা দেখা দিলে তা দ্রুত দূর করতে হবে।
পেটে গ্যাস কেন হয়
যখন আমরা ফাইবারযুক্ত খাবার বেশি খেয়ে ফেলি তখন আমাদের পাকস্থলী সহজে সবটা পরিপাক করতে পারে না। কিছু খাবার অপরিপাক থেকে যাই। সেই অপরিপাক খাবার ক্ষুদ্রান্তে পৌঁছালে স্বল্প আয়ুর কিছু ব্যাকটেরিয়া তা খেয়ে ফেলে। এরপর মৃত ব্যাকটেরিয়া থেকে তৈরি হয় গ্যাস। সেই গ্যাসই পেটে জমে সমস্যার সৃষ্টি করে।
পেটে গ্যাস হলে যেসব সমস্যা হতে পারে
১. তলপেটে ব্যথা হওয়া
২. দুর্গন্ধযুক্ত বা গন্ধহীন ঢেকুর ওঠা
৩. পেট ফেঁপে থাকা।
পেটের গ্যাস দূর করার উপায়
* পেটের গ্যাস দূর করতে খাবারের ক্ষেত্রে হতে হবে সচেতন। পেট ঠান্ডা রাখতে নিয়মিত শসা খাবেন। শসায় আছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এসব উপাদান পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।
* আদার গুণের কথা নিশ্চয়ই নতুন করে বলে দিতে হবে না! অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ এই মশলা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। পেটে গ্যাস কিংবা পেট ফাঁপার মতো সমস্যা হলে আদা কুচি করে নিয়ে লবণ দিয়ে খেয়ে নেবেন। সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে দ্রুত।
* পেটে গ্যাস জমলে তা দূর করার জন্য খেতে পারেন ঠান্ডা দুধ। এটি একটি কার্যকরী প্রক্রিয়া। ঠান্ডা দুধ পাকস্থলির গ্যাস্ট্রিক এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি মেলে দ্রুত।
* বাড়িতে নিশ্চয়ই পুদিনা পাতা থাকে? পেটে গ্যাস জমলে চার-পাঁচটি পুদিনা পাতা পানিতে ফুটিয়ে খেয়ে নিন। এতে পেটের গ্যাস তো দূর হবেই, সেইসঙ্গে বমিভাবও কেটে যাবে।
* হজমশক্তি ভালো রাখতে কাজ করে দই। তাই প্রতিদিন একবাটি দই খেলে হজম ভালো হয়। যার ফলে পেটে গ্যাস জমার ভয় থাকে না।
* পেটের গ্যাস থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে কলা ও কমলা। এই দুটি ফল পাকস্থলির অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে পারে। ফলে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও বেশ কার্যকরী।