মাদরাসার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ইসলাম ধর্ম জ্ঞান অর্জনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। আর জ্ঞানার্জনের জন্য সারা বিশ্ব আমাদের পাঠশালা। জ্ঞানার্জনের জন্য আল্লাহ আমাদের সবকিছু দিয়েছেন, এগুলো কাজে লাগিয়ে জ্ঞানার্জন করে দেশ ও মানবতার সেবায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে।’
গতকাল শুক্রবার (২১ জুলাই) সিলেটের জালালাবাদ গ্যাস ভবন মিলনায়তনে হাফেজ আবু তালহার সম্মানে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ড. মোমেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘হাফেজ আবু তালহার অর্জন আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। আবু তালহাকে অভিনন্দন। অন্য হাফেজরা তার সাফল্য দেখে অনুপ্রাণিত হবেন।’
লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের হাফেজ আবু তালহা ১১৬টি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে বাংলাদেশের জন্য গৌরব বয়ে এনেছেন। তার এই সাফল্য বাংলাদেশের জন্য গৌরবের।
অনুষ্ঠানে ড. মোমেন বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম, আর আওয়ামী লীগ সরকার ইসলাম ধর্মের প্রকৃত এই মর্মবাণী ছড়িয়ে দিতে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সিলেটে যখন হযরত শাহজালাল (র.) আসেন তখন তার অনুসারীদের গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে পড়তে বলেছিলেন। হযরত শাহজালালের (র.) অনুসারীরা গ্রামেগঞ্জে গিয়ে তাদের সুন্দর আচার-ব্যবহার দিয়ে ইসলামের শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। তখন অন্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের কথা শুনেছেন এবং ইসলামের শান্তির বাণীতে মুগ্ধ হয়ে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় দৃষ্টিনন্দন ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে। মসজিদগুলো থেকে প্রতি বছর ১৪ হাজার হাফেজ তৈরির ব্যবস্থা থাকবে। মডেল মসজিদগুলোতে দ্বীনি কার্যক্রম ও ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, যৌতুক, নারীর প্রতি সহিংসতাসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে।’
সিলেটের মাছিমপুর মাদরাসার পরিচালক হাফিজ মাওলানা শায়খ নাজমুদ্দীন ক্বাসিমীর সভাপতিত্বে গণসংবর্ধনায় সম্মানিত ওলামা, বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।