ব্যক্তিভেদে পছন্দের তালিকায় ভিন্নভাবে থাকে চা ও কফি। তবে নানা মাধ্যমে প্রায়ই প্রশ্ন দেখা যায় চা, নাকি কফি বেশি উপকারী। এ নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক থাকায় বিভ্রান্তিতে ভোগেন মানুষজন।
ব্যক্তিভেদে পছন্দ পৃথক হলেও কম-বেশি দুটোরই উপকারিতা রয়েছে। এ বিষয়ে কলকাতার পুষ্টিবিদ কোয়েল পাল চৌধুরী ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। চা ও কফির স্বাস্থ্যগুণের পার্থক্য জানিয়েছেন।
কফি
কফি হচ্ছে ক্যাফেইনের ভাণ্ডার। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে। যা কফির অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট। এই উপাদান স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও কফির অনেক গুণাগুণ রয়েছে।
নিয়মিত কফি পানে হার্টের অসুখ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, গলস্টোন এবং পার্কিনসনের মতো জটিল অসুখ প্রতিরোধ হয়। এছাড়া মুড বুস্ট করতে দারুণ ভূমিকা রাখে কফি। স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তা এড়াতেও এই পানীয় অবদান রাখে। নিয়মিত কফি পানে শরীর ও মন দুটোই চাঙা থাকে।
চা
চা ও কফি, কোনোটি কারও থেকে কম নয়। চায়েও অনেক গুণাগুণ রয়েছে। এতেও ক্যাফেইন থাকে। এছাড়া চায়ে উপকারী কিছু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। নিয়মিত চা পানে কার্ডিওভাস্কুলারসহ নানা সমস্যাকে হটিয়ে ফেলা যায়। আবার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে ওজন কমানো এবং প্রাথমিক পর্যায়ের ক্যানসার প্রতিরোধে অবদান রাখে।
কফির মতোই অনেকটা মুড ভালো করার ক্ষমতা রয়েছে চায়ে। এ কারণেই চা পানের পর কাজে সহজেই মন বসে।
পুষ্টিগুণে কোনটা এগিয়ে: কফির তুলনায় চায়ের দাম অনেক কম। তাই অনেকে মনে করেন চায়ের তুলনায় কফি হয়তো একটু বেশি উপকারী। কিন্তু বিষয়টি তা নয়। দুটিই উপকারী। তবে চায়ের তুলনায় কফিতে প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি ক্যাফেইন থাকে। এ কারণে কফি পানের পর দ্রুত মুড ভালো হয়। অপরদিকে চায়ে থাকা উপাদান দেরিতে হলেও মুড দীর্ঘক্ষণ ভালো রাখতে পারে। এ কারণে কোনোটাকে এগিয়ে রাখা যায় না।
খাবার খাওয়ার সঙ্গে চা-কফি নয়: অনেকে সকালের ব্রেকফাস্ট বা দুপুরে লাঞ্চ করার সময় চা বা কফি পান করেন। এতেই সমস্যার শুরু হয়। শরীরের নানা সমস্যা হয়ে থাকে। তাই খাবার ও চা-কফির মাঝে অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বিরতি নেয়া উচিত।
দিনে কয় কাপ চা বা কফি পান উচিত: চা বা কফির প্রতি অনেকেরই ভালোবাসা রয়েছে। এ কারণে জীবনের প্রায় সব মুহূর্তেই চা ও কফি পান করা হয়। তাতেই অবশ্য ক্ষতি হয় শরীরের। এ ধরনের পানীয় বেশি পরিমাণে পানের কারণে পেটের নানা সমস্যা হওয়ার শঙ্কা থাকে। আবার অনেকে চায়ে দুধ ও চিনি মিশিয়ে থাকেন। যা খুবই খারাপ অভ্যাস। ফলে সুগার ও ওজন ক্রমশ বাড়তে থাকে।