বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সকল রাজনৈতিক দল, তাদের সমর্থক এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে একটি শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) সম্প্রতি ঢাকায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মারমুখী আচরণের কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স এ আহ্বান জানান।
জেনেভায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, পুলিশকে লাঠি, ব্যাট, লোহার রড দিতে বিক্ষোভকারীদের পেটাতে দেখা গেছে। সংঘর্ষে বিরোধী পক্ষের অনেক সমর্থক এবং কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছে। বিরোধী দলের সিনিয়র নেতাদের প্রকাশ্য দিবালোকে মারধর করা হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য দাবি করে তাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বাংলাদেশে বিরোধী দলের সমাবেশে পুলিশের রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস ও জলকামানের ব্যবহারের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, সমাবেশকে সামনে রেখে কয়েকশ বিরোধী নেতা ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে বা জানুয়ারির শুরুতে বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি ও সমমনা কয়েকটি দল দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে।
বাংলাদশ সরকার অবশ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেছে।
মুখপাত্র লরেন্স জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সরকারকে মানবাধিকার রক্ষা করতে বাধ্য থাকতে হবে এবং জনগণকে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করতে দিতে হবে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় পুলিশকে শুধু জরুরি প্রয়োজন হলেই বল প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছে। অতিরিক্ত বল প্রয়োগের ঘটনার তদন্ত অবিলম্বে করতে হবে এবং দায়ীদের জবাবদিহি করতে হবে।