এবার রাতের ভোট ঠেকাতে যে পরিকল্পনার কথা জানাল ইসি

রাতের ভোট ঠেকাতে এবার সকালে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার পাঠাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে কমিশনের এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

রোববার (৬ আগস্ট) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এবারও ব্যালটেই নির্বাচন হবে। ব্যালটে নির্বাচনে যাতে কোনো রকম অপব্যবহার না হতে পারে সে জন্য আমাদের কিছু কৌশল আছে এবং সেগুলো আমরা প্রয়োগ করার চেষ্টা করব। তার মধ্যে যেমন একটা হলো, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর নির্বাচনের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠাই, যদি না যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক থেকে বাজে অবস্থা না থাকে।

মো. আলমগীর বলেন, যোগাযোগ যেখানে ভালো সেখানে ভোর চারটায় যাত্রা শুরু করলে ভোট শুরু হওয়ার আগেই পৌঁছাতে পারবে, সেসব কেন্দ্রে আমরা সকালে ব্যালট পাঠাই। আগামী জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এই ধরনের সিদ্ধান্ত হয়তো নিতে পারি। তবে যেখানে পাঠানো সম্ভব নয়, সেখানে আমরা বিশেষ ব্যবস্থায় রাতে ব্যালট পেপার পাঠাব, পথে যেন মিসইউস বা ছিনতাই না হতে পারে।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকের বিষয় নিয়ে কোনো চাপ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, এ বিষয়ে কোনো চাপ নেই। থাকবে কেন? আমরা প্রথম থেকেই বলছি, বিদেশি পর্যবেক্ষক যত খুশি আসতে পারে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো লিমিটেশন নেই। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা দিলে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

তিনি আরও বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আমাদের কাছে আবেদন করলে সেটা পাঠিয়ে দিই পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। তারা আবার এটা পর্যালোচনা করে দেখে, আবেদনকারীরা আসলেই পর্যবেক্ষক কি না, অতীতে পর্যবেক্ষণে সম্পৃক্ত ছিল কিনা। অনেক সময় তারা মানবপাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে অথবা অন্য অন্যায় কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে, তারা এগুলো দেখে এরপর ভিসা দেওয়া হলে আমাদের তরফ থেকে আপত্তি থাকে না। ইতোমধ্যে সংসদ নির্বাচনের কেন্দ্র বাছাই করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি আগামী, ২৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত খসড়া তালিকা ইসিতে জমা দেবে।

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, বিষয়টি আমাদের মধ্যে ফরমাল কোনো আলোচনা হয়নি। চিন্তা-ভাবনাও নাই। কারণ আপনারা জানেন, ৩০০ আসনে যখন ভোট হয় চার লাখ ভোটকেন্দ্র থাকে। সেখানে হয়তো বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র থাকবে, এতগুলো কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে তা দেখা কঠিন। আমরা সে ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা… আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশি সদস্য নিয়োগ করব।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

‘পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই’

নূর নিউজ

হাত পাখা নিয়ে কে কোথায় লড়ছেন?

নূর নিউজ

ইসলাম, দেশ ও মানুষের জন্য যেকোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে: মাওলানা আফেন্দী

আলাউদ্দিন