মুসাফির কসর না করে পুরো নামাজ পড়তে পারবে?

নামাজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহ তায়ালার ওপর ঈমান আনার পর একজন মুসলিমের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় পালনীয় বিধান হলো নামাজ আদায় করা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় নামাজকে ঈমানদারের জন্য নির্ধারিত সময়ে (আদায় করা) আবশ্যক করা হয়েছে।’ (সূরা নিসা, আয়াত, ১০৩)

ইসলামি বিধান অনুযায়ী, কেউ ইচ্ছাকৃত সময়মতো নামাজ আদায় না করলে, তাকে গুনাহগার হতে হবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস, ৪৯৬)

ইসলামে মুসাফিরদের নামাজের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। তাদের ভ্রমণে সহজতার জন্য চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজগুলোকে দুই রাকাত পড়ার বিধান দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, মুসাফির ব্যক্তির নামাজ পড়ার নিয়ম হলো- তিনি চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত (কসর) পড়বেন। আর এইভাবে সংক্ষেপে নামাজ পড়ার ভেতর আল্লাহ তায়ালা কল্যাণ রেখেছেন।

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা যখন জমিনে সফর করবে, তখন তোমাদের জন্য নামাজের কসর করায়— কোনো আপত্তি নেই। (সূরা নিসা, আয়াত, ১০১)

ইসলামের দৃষ্টিতে মুসাফির ব্যক্তি সফরে থাকাকালীন মুক্তাদি না হলে সব সময় নামাজ কসর করবে। তবে কেউ যদি ভুলবশত দুই রাকাতের জায়গায় চার রাকাত পড়ে ফেলে এবং এই সে ব্যক্তি যদি দ্বিতীয় রাকাতের পর প্রথম বৈঠক এবং শেষ বৈঠকের পর সাহু সিজদা করে থাকে, তাহলে তার নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে।

তবে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের খেয়াল-খুশি মতো দুই রাকাতের জায়গায় চার রাকাত পড়লে গুনাহগার হবে। এ অবস্থায় নির্ভরযোগ্য মতানুসারে, ফরজ নামাজ আদায় হয়ে যাবে। তবে ওই নামাজ আবার পড়া ওয়াজিব। (রদ্দুল মুহতার : ২/১২৮, মুখতাসারুল কুদুরি : ১/৩৫)

এ জাতীয় আরো সংবাদ

সংবিধানে রাষ্ট্র ইসলাম আছে, ইসলাম থাকবে: পীর সাহেব চরমোনাই

নূর নিউজ

হজরত উমাইমাহ বিনতে সাবিহ রা.: আবু হুরায়রা রা. এর মা

নূর নিউজ

রমজান শুরুর আগেই কাজা রোজা আদায় জরুরি

নূর নিউজ