সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারামে শুক্রবার (৪ রবিউস সানী, ২০ অক্টোবর) জুমার নামাজে ইমামতি করবেন ইমাম ও খতিব শায়খ ড. ফয়সাল গাজ্জাবি। একই দিনে মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববীতে জুমার নামাজ পড়াবেন ইমাম ও খতিব শায়খ ড. আব্দুল্লাহ বুয়াইজান। মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী বিষয়ক ওয়েব পোর্টাল হারামাইন শরিফাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে বেশ কয়েকজন ইমাম ও খতিব রয়েছেন, তারা হারামাইন শরিফাইনের পরিচালনা পর্ষদের শিডিউল অনুযায়ী জুমা ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে ইমামতি করেন।
মসজিদে হারামের বর্তমান খতিবরা হলেন, শায়খ সালেহ বিন হুমাইদ, শায়খ আব্দুর রহমান সুদাইস, শায়খ উসামা খাইয়াত, শায়খ মাহের মুআইকিলি, শায়খ ফয়সাল গাজ্জাবি, শায়খ বান্দার বালিলা, শায়খ আবদুল্লাহ জুহানি।
মসজিদে নববীর খতিবরা হলেন, শায়খ আলী হুজাইফি, শায়খ হুসাইন আলে শায়খ, শায়খ আব্দুল বারী ছুবাইতি, শায়খ আব্দুল মুহসিন কাসিম, শায়খ আব্দুল্লাহ বুআইজান, শায়খ সালাহ আল-বুদাইর, শায়খ আহমাদ বিন তালেব হামিদ, শায়খ আহমাদ বিন আলী হুজাইফি ও শায়খ খালেদ মুহান্না।
প্রসঙ্গত, মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী মুসলিম বিশ্বের অন্যতম সম্মানিত ও পবিত্র স্থান। এই দুই মসজিদে নামাজ পড়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হজরত আবূ দারদা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘মসজিদে হারামে এক নামাজ এক লাখ নামাজের সমান, আমার মসজিদে (মসজিদে নববী) এক নামাজ এক হাজার নামাজের সমান এবং বাইতুল মাকদাসে এক নামাজ ৫০০ নামাজের সমান।’-(মাজমাউয যাওয়াইদ, ৪/১১)
আরেক হাদিসে ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমার এ মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মসজিদে হারাম ছাড়া অন্যান্য মসজিদে এক হাজার নামাজ আদায় করার চেয়েও উত্তম।’-(বুখারী, ১১৯০; মুসলিম, ১৩৯৪)